scorecardresearch
 

Mimi Chakraborty Facebook Post: 'রাজনীতিতে থাকি বা না থাকি...' কাজের হিসেব দিয়ে হঠাত্‍ ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট মিমির

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফার চিঠি তুলে দিয়েছেন। এবার ফেসবুকে পোস্ট করে সাংসদ তহবিলের টাকার খরচের হিসেব দিলেন মিমি চক্রবর্তী। মিমি দেখিয়েছেন সাংসদ হিসাবে ২০১৯ সাল থেকে তিনি ১৭ কোটি টাকার বেশি কাজ করেছেন।

Advertisement
Mimi Chakraborty Mimi Chakraborty
হাইলাইটস
  • সাংসদ হিসাবে ২০১৯ সাল থেকে তিনি ১৭ কোটি টাকার বেশি কাজ করেছেন
  • কোন এলাকায় কী কাজের জন্য কত টাকা খরচ হয়েছে, তার তালিকাও দিয়েছেন

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফার চিঠি তুলে দিয়েছেন। এবার ফেসবুকে পোস্ট করে সাংসদ তহবিলের টাকার খরচের হিসেব দিলেন মিমি চক্রবর্তী। মিমি দেখিয়েছেন সাংসদ হিসাবে ২০১৯ সাল থেকে তিনি ১৭ কোটি টাকার বেশি কাজ করেছেন। কোন এলাকায় কী কাজের জন্য কত টাকা খরচ হয়েছে, তার তালিকাও দিয়েছেন।

মিমি লিখেছেন, 'আমি মিমি চক্রবর্তী। আমার জীবনঅধ্যায়ের অধিকাংশ সময় অভিনয় জগতে থেকে মানুষকে মনোরঞ্জন দিতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু বিগত ৫ বছর, বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ গণতন্ত্রের একজন সাংসদ রূপে যতটা কাজ সাধারণ মানুষের জন্যে করতে পেরেছি, মানুষের করের টাকা সঠিক ভাবে ব্যবহার করে উন্নয়নমূলক কাজ করেছি, সৎপথে থেকে মাথা উঁচু করে এগিয়ে গেছি... সেই সফরের কথা মনে করলে মারাত্মক আত্মতুষ্টি হয়। তাই আনন্দের সাথে বিগত পাঁচ বছরের আমার সাংসদ রূপে যাবতীয় কাজের খতিয়ান আজ জনসমক্ষে তুলে ধরলাম।'

মিমি লিখেছেন,'আন্তরিক কৃতজ্ঞতা আমার নেত্রী, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-কে, তার স্নেহের হাত আমার মাথায় সর্বক্ষণ রাখবার জন্য। আগামী দিনে আমি সক্রিয় রাজনীতিতে থাকি বা না থাকি, আমার কাজের মাধ্যমে আমি নিশ্চিতরূপে মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায় থাকব।' পরিসংখ্যানের সঙ্গেই মিমি উল্লেখ করেছেন, 'কোভিডের কারণে সেই সময়ে টাকা আসা বন্ধ ছিল।' হিন্দি গানের পংক্তি দিয়ে তাঁর আরও সংযোজন, 'কুছ তোহ লোগ কাহেনগে, লোগো কা কাম হে কেহনা!'

আরও পড়ুন

বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় বক্তৃতা পেশ করেন। তা শেষ হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে যান মিমি। সেখানেই ইস্তফার চিঠি তুলে দেন। সম্প্রতি সংসদের দু’টি স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন মিমি। সংসদের শিল্পবিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি। ছিলেন কেন্দ্রীয় শক্তি মন্ত্রক এবং নবীন ও পুনর্নবীকরণযোগ্য বিদ্যুৎ মন্ত্রকের যৌথ কমিটির সদস্যও। এই দু’টি পদ থেকেই তিনি ইস্তফা দেন। জানা গেছে, যাদবপুর লোকসভার অধীন নলমুড়ি এবং জিরানগাছা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারপার্সন পদও মিমি ছেড়ে দিয়েছেন।

Advertisement

তার পর থেকেই তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ঘিরে জল্পনা শুরু হয়েছে। দেবও দিনকয়েক আগে দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেছিলেন। একের পর এক প্রশাসনিক পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছিলেন। নিজের লোকসভা এলাকা ঘাটালের তিনটি প্রশাসনিক পদ— ঘাটাল কলেজ, ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি ও বীরসিংহ উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দেন সাংসদ দেব। যা দেখে জল্পনা শুরু হয়, দেব হয়তো রাজনীতি ছেড়ে দিচ্ছেন। তবে মমতা এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর অভিনেতা-সাংসদ মত বদলেছেন। বলেছেন, “আমি ছাড়তে চাইলেও রাজনীতি আমাকে ছাড়বে না!”

Advertisement