'বহরমপুরে দুই প্রার্থীই বিজেপির'। বৃহস্পতিবার যেদিন বহরমপুরে পা রাখলেন তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠান, সেদিনই এভাবে আক্রমণ শানালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তাঁর দাবি,'অধীরকে হারাতে চায় তৃণমূল। এই সুযোগে আসন সংখ্যা বাড়িয়ে নেওয়া বিজেপির লক্ষ্য'।
এ দিন বহরমপুরে গিয়েই পাঠান বলেন,'রান করব। ম্যাচ জেতাব।' সেই সঙ্গে বহিরাগত কটাক্ষের প্রেক্ষিতে তাঁর জবাব,'নরেন্দ্র মোদী গুজরাতের বাসিন্দা হয়ে বারাণসী প্রার্থী হন। কাজ করার ক্ষমতা ও ইচ্ছা থাকলে সব জায়গায় লড়তে পারি। আমার এটা ঘর। আমি এখানে থাকতে এসেছি'। ইউসুফের মন্তব্যে অধীর বলেন, যে কেউ প্রার্থী হতে পারেন। তা নিয়ে আমার বলার কিছু নেই। ইন্ডিয়া-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ হবে, কে কাকে হারাবে, মাঠের গল্প মাঠেই হয়। ভোটে জিততে লাগে মানুষের সমর্থন। মানুষ স্বাধীন মতামত দিয়ে যাঁকে চাইবে, তাঁকে জেতাবে। মানুষের ভাবাবেগকে খেলার মাঠের সঙ্গে তুলনা করা উচিত নয়। খেলার মাঠে আজ আছে, কাল নেই'!
তিনি যোগ করেন,'আজকালকার খেলোয়াড়রা টাকার বিনিময়ে খেলতে আসেন। আমরা হৃদয় দিয়ে খেলি। টাকার বিনিময়ে খেলতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে মানুষের ভাবাবেগ বোঝা যায় না'।
অধীর আরও বলেন,'কীসের খেলা হবে? মানুষের মতামতকে সম্মান দিন। তবেই নির্বাচনে লড়াই করার অধিকার অর্জন করা যায়। আমি মানুষকে শ্রদ্ধা করি। সম্মান করি। আমি সীমাবদ্ধ ক্ষমতায় মানুষের পাশে থাকি। এখানকার মানুষের আশীর্বাদে ভারতের সবচেয়ে বড় পঞ্চায়েতে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছি। এর আগেও নির্বাচনে লড়েছি, জিতেছি'।
বহরমপুরে বিজেপি প্রার্থী নির্মল সাহা, আর তৃণমূলের ইউসুফ পাঠান। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সংখ্যালঘু ভোট পাঠান টানতে পারলে অধীর অস্বস্তি পড়তে পারেন। সেই ইঙ্গিত কি দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি? তিনি বলেন,'কিছুদিন আগে দিল্লি গিয়েছিলাম, সেখানে এক সাংবাদিকের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। সে বলেছিল, বিজেপির দুটো প্রার্থী, আপনি এটা মাথায় রেখে চলবেন। আমি এখানে দেখলাম তৃণমূল নির্বাচনে জিততে চায় না, তাদের লক্ষ্য অধীর চৌধুরীকে হারানো। তৃণমূলের লক্ষ্য, অধীরকে হারানো। আর বিজেপির লক্ষ্য এই সুযোগে আসন সংখ্যা বাড়িয়ে নেওয়া। বিজেপির দু'জন প্রার্থী এখানে'।