মিমি চক্রবর্তীর বদলে কেন যাদবপুর কেন্দ্র এবার সায়নী ঘোষকে প্রার্থী করা হল, তা নিয়ে ভোটের প্রচারে মুখ খুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছেন, 'কোমর বেঁধে, কোমর কষে, একটু ঝগড়া করার লোক দরকার।' তৃণমূলনত্রীর এই মন্তব্যের পাল্টা সরব হলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। বললেন, 'এখন কোমর বেঁধে কী করবে সে দিদি জানে আর তাদের নায়িকারা জানে।'
ঠিক কী বলেছেন অধীর?
বহরমপুরের বিদায়ী সাংসদ বলেছেন, 'এখন কোমর বেঁধে কী করবে সে দিদি জানে আর তাদের নায়িকারা জানে। তবে নায়িকা নায়ক-গায়ক তো অনেক হল। এবার পার্লামেন্ট করার মতো কিছু লোকের দরকার। আমি কারও যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন করছি না, সকলে যোগ্য। কিন্তু যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজে বিশ্বাস করেন না যোগ্যতাকে, সেই রাজ্যে যোগ্য প্রার্থী পাওয়া তো মুশকিল তৃণমূলের। তাই তৃণমূলের গুটিকয়েক ব্যক্তি ছাড়া পার্লামেন্টে কাউকে দেখতে পাওয়া যায় না। যেটা সত্য সেটা সত্য বলতেই হবে।'
এই প্রসঙ্গে অধীর আরও বলেছেন, 'আমি কারও যোগ্যতা, কারও শিক্ষা নিয়ে প্রশ্ন করছি না। কারও দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন করছি না। কিন্তু কথা হল পার্টি তাদেরকে সেভাবে ব্যবহার করবে তবে তো।এখন দিদির ধারণা ভোটে তো হারবই। নায়ক-নায়িকাকে নামিয়ে যদি ভোটে জেতা যায়। গ্ল্যামার ক্যুইনদের নামিয়ে ভোটের বাজার যদি গরম করা যায়। আর তো কোনও কারণ নেই। তার জন্য নামানো হয়েছে।'
কী বলেছেন মমতা?
যাদবপুর কেন্দ্রে ভোটপ্রচারে গিয়ে মিমি প্রসঙ্গে মমতা প্রথমে বলেন, 'মিমি খুব ভাল মেয়ে, ভাল অভিনেত্রী। খুব ভাল অভিনয় করে। সত্যি, ও খুব ব্যস্ত থাকে। কাউকে তো তার প্রফেশন থেকে সরিয়ে আনতে পারি না। তা সত্ত্বেও ওকে যখন যা বলেছি, করেছ। সাধ্যমতো চেষ্টা করেছে। আমি নিজে ফোন করে বলেছি, মিমি, এবার তোমাকে যদি, অন্য কোথাও দেখে দাঁড়াবে? আমি কিন্তু না করিনি। ও ভাল মেয়ে, ভাল থাকুক।'
এরপরেই সায়নী প্রসঙ্গে মমতা বলেন, 'এখানে কেউ কেউ বড্ড বেড়েছে। নরম লোক দিয়ে হবে না। কোমর বেঁধে, কোমর কষে, একটু ঝগড়া করার লোক দরকার। যাতে মানুষ বিচার পায়। এটা কারও গায়ের জোর নয়, যে জমিদারি দেখাবে, তার জমিদারি ভাঙবার জন্য সায়নীকে দেওয়া হয়েছে। ও স্ট্রং মেয়ে।'