scorecardresearch
 

Arjun Singh: অর্জুন শীঘ্রই বিজেপিতে? ব্যারাকপুর নিয়ে সাংসদের আবেগঘন পোস্টে জল্পনা তুঙ্গে

অর্জুন সিংয়ের বিজেপিতে যোগদান কি শুধু সময়ের অপেক্ষা? লোকসভা ভোটের আগে ফের তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন ব্যারাকপুরের সাংসদ। শুধু তাই নয়, ফের ব্যারাকপুর থেকেই ভোটে লড়তে পারেন সেখানকার 'বাহুবলী নেতা'। মঙ্গলবার এই জল্পনা নিজেই উস্কে দিয়েছেন অর্জুন। এবার ব্যারাকপুর নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেগঘন বার্তা দিলেন এলাকার সাংসদ। লিখলেন, 'হৃদয় জুড়ে ব্যারাকপুর'। 

Advertisement
জল্পনা বাড়ালেন অর্জুন। জল্পনা বাড়ালেন অর্জুন।
হাইলাইটস
  • ফের তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন অর্জুন।
  • ফের ব্যারাকপুর থেকেই ভোটে লড়তে পারেন সেখানকার 'বাহুবলী নেতা'।
  • এবার ব্যারাকপুর নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেগঘন বার্তা দিলেন এলাকার সাংসদ।

অর্জুন সিংয়ের বিজেপিতে যোগদান কি শুধু সময়ের অপেক্ষা? লোকসভা ভোটের আগে ফের তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন ব্যারাকপুরের সাংসদ। শুধু তাই নয়, ফের ব্যারাকপুর থেকেই ভোটে লড়তে পারেন সেখানকার 'বাহুবলী নেতা'। মঙ্গলবার এই জল্পনা নিজেই উস্কে দিয়েছেন অর্জুন। এবার ব্যারাকপুর নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেগঘন বার্তা দিলেন এলাকার সাংসদ। লিখলেন, 'হৃদয় জুড়ে ব্যারাকপুর'। 

ইতিমধ্যেই অর্জুন সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, লোকসভার টিকিট না দেওয়ায় তাঁকে বিধানসভা ভোটে বরানগর থেকে দাঁড় করানোর প্রস্তাব দিয়েছে তৃণমূল। সম্প্রতি ওই কেন্দ্রের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তাপস রায়। তাপসের কেন্দ্র তাঁকে দেওয়ার প্রস্তাব তৃণমূল দিয়েছে বলে দাবি করেছেন অর্জুন। এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে অর্জুন জানিয়েছেন, তিনি ব্যারাকপুর ছাড়তে চান না। ব্যারাকপুরকে যে তিনি মনে-প্রাণে ভালবাসেন, সেই বার্তা ফেসবুকে তুলে ধরেছেন স্থানীয় সাংসদ। ফেসবুকে লিখেছেন, 'আমি সর্বদা ব্যারাকপুরের মানুষের সেবা করেছি এবং শেষ নি:শ্বাস পর্যন্ত করব।'

অর্জুন তৃণমূলেরই নেতা ছিলেন। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে টিকিট বণ্টন নিয়ে সেবারও অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের 'বাহুবলী' নেতা অর্জুন। সেবার দীনেশ ত্রিবেদীর সঙ্গে অর্জুনের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছিল। তারপরেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন অর্জুন। সেবার দীনেশকে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। বিজেপিতে গিয়ে ব্যারাকপুরে প্রার্থী হন অর্জুন। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে ব্যারাকপুর থেকে পদ্ম প্রতীকে লড়ে জয়ী হন এই দাপুটে নেতা। কিন্তু তার পরে বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন ঘটে অর্জুনের। গত রবিবার ব্রিগেডে জনগর্জন সভা থেকে রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে তৃণমূল। ঠাঁই পাননি অর্জুন। ব্যারাকপুর থেকে ভোটে লড়ছেন পার্থ ভৌমিক। এরপরেই অর্জুনের গলায় ক্ষোভের সুর শোনা যাচ্ছে। যার জেরে ফের তাঁর দলবদলের জল্পনা জোরালো হয়েছে।

Advertisement

অর্জুন বলেছেন, 'তৃণমূলে আমার প্রয়োজন ফুরিয়েছে। তাই দল আমায় ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। দলের উপর বিশ্বাস ভেঙে গিয়েছে।' তাঁর 'গলা কাটা হয়েছে' বলেও মন্তব্য করেছেন অর্জুন। এমনকি, অর্জুনের অফিস থেকে মমতা এবং অভিষেক বন্দ্যোপাপাধ্যায়ের ছবি সরিয়ে রাখা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি। তৃণমূলে তিনি থাকবেন কিনা, তা শীঘ্রই সকলে জানতে পারবেন বলে মন্তব্য করেছেন অর্জুন। এই প্রেক্ষাপটে অর্জুনকে পরামর্শ দেন তাঁর 'বন্ধু' তথা ব্যারাকপুরের তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিক। বলেছেন, 'বার বার দল বদল করে মানুষের বিশ্বাস চলে যায়।'

অর্জুনকে কি স্বাগত জানাবে বিজেপি? এই প্রসঙ্গে মঙ্গলবার মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, 'এরকম অনেক নেতাই ত্রিশঙ্কু হয়ে গিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতেও এখন পরিষ্কার হচ্ছে। মোদীর নেতৃত্বে দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের রাজনীতির জামা গায়ে পরে ঘুরে বেড়ানো বন্ধ হয়ে যাবে। উনি কোথায় যাবেন, সেটা এখন আর ওঁর হাতে নেই।' বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, 'অর্জুনের বোধদয় হয়েছে।'
 

Advertisement