নরেন্দ্র মোদী সরকার ক্ষমতায় এলে জেলে পাঠাতে পারেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। জেল থেকে বেরানোর পর প্রথম সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই দাবি করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাঁর দাবি, বিজেপি সরকার ক্ষমতায় ফিরলে সমস্ত বিরোধী নেতা-নেত্রীকে জেলে যেতে হবে।
সুপ্রিম কোর্ট অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়ার পর আপাতত জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন। শনিবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে কেজরিওয়াল দাবি করেন, স্বাধীনতার পর ৭৫ বছরে বিরোধীদের উপর এমন হেনস্থা কেউ করেনি। মোদীকে নিশানা করে কেজরিওয়াল বলেন,'দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার কথা মুখে বললেও সব চোরই তাঁর দলে'।
দিল্লির বলেন,বিজেপি ক্ষমতায় এলে সব বিরোধী নেতা-নেত্রীকে জেলে ভরে খতম করে দেবে। এখন আমাদের মন্ত্রীরা, হেমন্ত সোরেন (ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী), মুখ্যমন্ত্রী মমতার মন্ত্রীরা (তৃণমূল কংগ্রেস) সব জেলে রয়েছেন। আবার ওরা (বিজেপি) ক্ষমতায় ফিরলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এমকে স্তালিন, আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব, পিনারাই বিজয়ন, উদ্ধব ঠাকরে-সহ সব বিরোধী নেতা-নেত্রীরা জেলে থাকবেন'।
লোকসভা ভোটের ঠিক আগেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরীওয়ালকে গ্রেফতার করে ইডি। তাঁর বিরুদ্ধে আবগারি দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকেও গ্রেফতার করেছে ইডি। দলের এক নেতাকেও নরেন্দ্র মোদী ছাড়বেন না বলেও দাবি করেছেন কেজরিওয়াল। তাঁর কথায়,'বিজেপিতে এখন লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলী মনোহর যোশী, শিবরাজ সিংহ চৌহান, বসুন্ধরা রাজে, এমএল খট্টর, রমন সিং রাজনীতি শেষ। ওদের পরবর্তী লক্ষ্য যোগী আদিত্যনাথ। দেশের ক্ষমতায় ফেরার দু'মাসের মধ্যেই যোগীকে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর আসন থেকে সরিয়ে দেবে বিজেপি'।
উল্লেখ্য, শুক্রবারই কেজরিওয়ালকে ১ জুন পর্যন্ত অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে জুড়ে দিয়েছে বেশ কিছু শর্ত। শুরু থেকেই কেজরিওয়াল দাবি করে আসছিলেন, রাজনৈতিক কারণে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। এর পিছনে আছে বিজেপি।