ভোট দিলেন বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। সন্দেশখালি কর্ণখালি ১৭১ নম্বর বুথে তিনি ভোট দেন। রেখা দাবি করেন যে এই প্রথমবার তিনি স্বাধীনভাবে নিজের ভোট নিজে দিলেন। কয়েকবার বুথে যাওয়ার আগেই তাঁর ও অন্যদের ভোট হয়ে যেত বলেও দাবি করেছেন তিনি। রেখা বলেন, 'এত বছর ভোটার হয়ে আজকে নিজের ইচ্ছাতে ভোট দিতে পারব। আগে আমরা দু-একবার বুথেও গিয়েও ভোট দিতে পারিনি। কয়েকবার বুথে যেতে হয়নি, বাড়ি থেকেই আমাদের ভোট হয়ে যেত। ২০২৪ সালেই আমি ভোট দেব স্বাধীনতা মতো। আমি আনন্দিত যে নিজের ইচ্ছামতো ভোট দিতে পারব।' জেতার বিষয়ে কতটা আশাবাদী? এই প্রশ্নের উত্তরে রেখা বলেন, 'বসিরহাটের মানুষের আশীর্বাদে আমি ১০০ শতাংশ জেতার বিষয়ে আশাবাদী ও আত্মবিশ্বাসী।'
এদিকে, ভোটের আগের রাতে ফের একবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালি। ফের একবার পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ পুলিশ সেজে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। যদিও বিজেপির এই অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছে রাজ্যের শাসক দল। সন্দেশখালির বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারী এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, 'নির্বাচনের আগে সন্দেশখালিকে দমন করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শেষ মরিয়া চেষ্টা। চপ্পল পরা সাধারণ পোশাকে পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়াররা ভোটারদের বিশেষ করে নারীদের ভয়ভীতি দেখানোর জন্য সন্দেশখালির বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। তবে তাদের মুখোমুখি হয়েছিল সন্দেশখালির সাহসী মহিলারা। বসিরহাট সংসদীয় আসনের ভোটাররা ভোট দেবেন। পুলিশ ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে সাধ্যমত চেষ্টা করছে।'
এই বিষয়ে রেখা বলেন, 'পুলিশ আমার বাড়িতে গিয়ে মারার চেষ্টা করেছিল। এটা তৃণমূলের চক্রান্ত। আশা করছি ৪ তারিখের পর পতন হবে। প্রত্যেকটা মারের জবাব মানুষ নেবে। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার কারণেই মানুষ আন্দোলন করেছে। বিজেপি সাহায্য করেছে বলে আমাদের অসম্মান করার চেষ্টা হয়েছে। মানুষ যাকে খুশি ভোট দিক, তবে শেখ শাহজাহান, শিবু হাজরা ও উত্তম সর্দারকে নয়। কোনও দেশদ্রোহী, গুন্ডাবাহিনীকে যেন ভারতে আশ্রয়, প্রশ্রয় না দেওয়া হয়, এটাই চাইব।'