২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে গণনা। এখনও পর্যন্ত যা ট্রেন্ড তাতে ২৯০টি আসনে এগিয়ে রয়েছে এনডিএ জোট। অন্যদিকে, ইন্ডিয়া জোট ২২৩টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। বাংলায় ২১টি আসনে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ১৯টি আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। ২টি আসনে এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। সাম্প্রতিক সময়ে চর্চার কেন্দ্রে থাকা বসিরহাট লোকসভার ফলাফলের দিকে নজর রয়েছে সবারই। এখনও পর্যন্ত যা ট্রেন্ড তাতে এই আসনে এগিয়ে রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নুরুল ইসলাম। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন আইএসএফ প্রার্থী আখতার রহমান বিশ্বাস। চতুর্থ স্থানে রয়েছেন বাম প্রার্থী নিরাপদ সর্দার।
২০১৯ সালের তথ্য অনুযায়ী, এই লোকসভা কেন্দ্রের ভোটার সংখ্য়া ১৬ লাখ ৭৫ হাজার ৫৫০ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্য়া ৮ লাখ ৬২ হাজার ৪১৮ ও মহিলা ভোটারের সংখ্যা ৮ লাখ ১৩ হাজার ৫৫ জন। ১৯৮০-২০০৪ সাল পর্যন্ত যে আটটা লোকসভা নির্বাচন হয়েছে সেগুলি সিপিএমের দখলে ছিল। এরপর তৃণমূল ঝড়ে উড়ে যায় সিপিএম। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস দখল রেখেছে।
হাজি নুরুল ইসলাম বসিরাহাট কেন্দ্রে আগেও জয়লাভ করেন। ২০০৯-১৪ সাল পর্যন্ত এই কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন তিনি। ২০১৯ সালের শেষ লোকসভা নির্বাচনে ২০১৪ সালের জেতা ইদ্রিশ আলিকে প্রার্থী করেননি তৃণমূল সুপ্রিমো। তারকা অভিনেত্রী নুসরত জাহানকে এই আসনে দাঁড় করান। তিনি জয়লাভও করেন। সন্দেশখালির আন্দোলনকারী তথা বসিরহাট কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। সন্দেশখালির আন্দোলনের মুখকে লোকসভায় নিয়ে যেতে মরিয়া বিজেপি। অনেকেই আবার একে বিজেপির মাস্টারস্ট্রোক বলা হচ্ছে। সন্দেশখালিতে শাহজাহানের বিরুদ্ধে যখন বিক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন, সেই সময়ই নিরাপদ সর্দারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আন্দোলনে বাধা দেওয়ার জন্য তাঁকে গ্রেফতার করা হয় বলে অভিযোগ করে সিপিএম। আন্দোলনের মুখ হিসেবে তাঁকে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করে সিপিএম। তিনি প্রাক্তন বিধায়কও।