অর্জুন সিং-এর অফিসে দিদি-কে সরিয়ে মঙ্গলবারই এন্ট্রি নিয়েছেন মোদী। জল্পনা চলছে অর্জুনের বিজেপিতে যোগ কি একেবারেই পাকাপাকি ? এরমাঝেই উত্তরবঙ্গ থেকে আজ ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্জুন প্রসঙ্গে এদিন মমতাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'ও এখনও বিজেপি সাংসদ।'
তৃণমূল এবার অর্জুন সিংকে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী করেনি৷ টিকিট না পেয়েই বিদ্রোহের সুর শোনা গিয়েছে অর্জুন সিং-এর গলায়৷ সংবাদ মাধ্যমে নিজের মতামত জানাতে গিয়ে অর্জুন সাফ বলেছেন, তৃণমূল কংগ্রেসে তিনি অবাঞ্ছিত। সঙ্গেই তিনি বলেন, এই সমগ্র বিষয়টি পরিকল্পিত, পরিকল্পনা করেই তাঁকে সরানো হয়েছে। বিজেপিতে যোগ নিয়ে অর্জুন সিং বলেছেন, "এই মুহূর্তে সিদ্ধান্তের কথা বলতে পারব না। নিলে জনাব নিশ্চিত ভাবে। তবে এখানে আর আমার প্রয়োজন নেই মনে হয়েছে। যেভাবে আমাকে ছুঁড়ে ফেলা হল, আমার প্রয়োজনীয়তা কমে গেছে।" জানা যাচ্ছে এরপরেই অর্জুনের ক্ষোভ প্রশমনে তৎপর হয়েছিল তৃণমূল নেতৃত্বও৷ উপনির্বাচনে প্রার্থী করারও প্রস্তাব দেওয়া হয় বলে সূত্রের খবর৷ অর্জুনকে বোঝাতে ফোন করেছিলেন ফিরহাদ হাকিম৷ যদিও তাতে মন গলেনি অর্জুনের৷ বরং সুর চড়িয়ে বারাকপুরের বিদায়ী সাংসদ হুঙ্কার দিয়ে বললেন, ‘এবার ব্যারাকপুরে পার্থ ভৌমিক বনাম অর্জুন সিং৷’ আর এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন। শিলিগুড়ি থেকে বললেন, 'ও এখনও বিজেপি সাংসদ।'
এদিন উত্তরকন্যায় সাংবাদিক বৈঠক করেন মমতা। সেখানে অর্জুনকে টিকিট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন করলে মমতা বলেন, "অর্জুন তো এখনও বিজেপি-র সাংসদ। বিজেপি-র সাংসদ পদ ছাড়েনি ও। এখনও বিজেপি-র টিকিয়ে জয়ী হয়েই রয়েছে। ও কোন দলে দাঁড়াবে, তা ঠিক করার স্বাধীনতা ওর। আমরা রাজনৈতিক ভাবে লড়াই করব। বারাকপুরে আমাদের প্রার্থী পার্থ ভৌমিক। আশাকরি মানুষের পূর্ণ সমর্থন পাবে পার্থ। ও ভাল ছেলে।" বিজেপি থেকে আসা অনেকেই এবার লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন। তাহেল অর্জুন ব্রাত্য কেন, এই প্রশ্নের জবাবে মমতা বলেন, "যারা তৃণমূলকে ভালবেসে এসেছে, দলকে ভালবেসে এসেছে, যারা দলের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ থেকেছে, আমি একা কিন্তু দলের সিদ্ধান্ত নিই না। সকলে মিলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। তৃণমূল অনেক বড় পরিবার। যেখানে যে যোগ্য, তার নিরিখে প্রার্থী করা হয়েছে।" এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে bangla.aajtak.in-কে অর্জুন সিং বলেন , 'ওনার হিসাবে ভুল ছিল, আমি তো বিজেপি সাংসদ হয়েও তৃণমূল মঞ্চে বসেছিলাম।'
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো বারাসতের তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারও বারাকপুরের সাংসদকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি । তৃণমূল দলে এলেও অর্জুন যে এখনও বিজেপির সাংসদ রয়ে গিয়েছেন সেকথা মনে করিয়ে কাকলি বলেন, ‘‘উনি যেহেতু এখনও ভারতীয় জনতা পার্টির সাংসদ । সেহেতু ওনার দল যদি ওনাকে ডেকে থাকে, উনি দিল্লি যেতেই পারেন । ওনার এখন মনে হয়েছে দিল্লি গেলে ভারতীয় জনতা পার্টির হয়ে লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন । সেটা ওনার ব্যক্তিগত ব্যাপার ।’’