লোকসভা ভোটে বর্ধমান দুর্গাপুর আসনে হেরে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব তুললেন বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ (BJP leader Dilip Ghosh)। তাঁর বক্তব্য,'কেন মেদিনীপুর থেকে বর্ধমান-দুর্গাপুরে পাঠানো হয়েছিল, এর পিছনে কোনও ষড়যন্ত্র ছিল কিনা জানি না'!
২০১৯ সালে মেদিনীপুরে জিতেছিলেন দিলীপ ঘোষ। এবার তাঁকে টিকিট দেওয়া হয় বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা আসনে। লক্ষাধিক ভোটে হেরেছেন দিলীপ। হারার পর থেকেই ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন তিনি। দিলীপ ঘনিষ্ঠরা বলছেন, লোকসভা ভোটের এক বছর আগেই দল নির্দেশ দিয়েছিল, নিজের কেন্দ্রে পড়ে থাকতে। গত ৫ বছর ধরে মেদিনীপুরে দিলীপ ঘোষ মাটি তৈরি করেছেন। তৃণমূলস্তর থেকে সংগঠন গড়ে তুলেছেন। সেই মেদিনীপুর ছাড়তে হল ভোটের ঠিক আগে। দিলীপকে হারাতেই ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। সেই কথাই শোনা গেল খোদ দিলীপের মুখে। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন,'দল বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনে জিততে পাঠিয়ে ছিল না হারতে তা জানি না! কেন মেদিনীপুর থেকে বর্ধমান-দুর্গাপুরে পাঠানো হয়েছিল, এর পিছনে কোনও ষড়যন্ত্র ছিল কিনা জানি না! কোনও ষড়যন্ত্র থাকতেই পারে'।
দলের লোকেরাই ষড়যন্ত্র করেছে বলেও মত দিলীপের। তাঁর কথায়,'মেদিনীপুরে ১ লক্ষ ভোটে জেতার পরিস্থিতি ছিল। সেখান থেকে কেন বর্ধমান-দুর্গাপুরে সরানো হল তা জানি না। দলের নির্দেশে বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনে লড়াই করতে যাই। কিন্তু ওখানে পিছন থেকে কাঠিবাজির জন্য জিততে পারিনি। আসলে সংগঠন এখন শক্তিশালী হয়নি। সংগঠনের দুর্বলতার জন্যই হারতে হয়েছে'। সেই সঙ্গেএনডিএ-র বৈঠকে শরিকি চাপ নিয়েও দিলীপ ঘোষের বক্তব্য,'হাতি কাদায় পড়লে ব্যাঙেও লাথি মারে'।
হুগলিতে হারের পর লকেট চট্টোপাধ্যায়ও আত্মবিশ্লেষণের কথা বলেছেন। লকেট বলেন,'আমাদের আত্মবিশ্লেষণ করা উচিত। জনতার রায় মাথা পেতে নিতে হবে। ঘরের মধ্যে অনেক কিছু থাকে যা নিয়ে আমরা কথা বলব।
এদিকে, দিলীপের প্রতি 'সহানুভূতিশীল' ফিরহাদ হাকিম। তাঁর কথায়,'এই পরাজয় নিয়ে আমার বলা সাজে না। এটা বিজেপির অভ্যন্তরীণ বিষয়। কিন্তু যেদিন বিজেপির কেউ ছিল না সেদিন দিলীপ ঘোষ ছিলেন। বাইরের কেউ এসে দলে ছড়ি ঘোরাবে। আর দিলীপ ঘোষ যিনি দলের পুরনো কর্মী, তিনি সাইড লাইনে চলে যাবেন। এটা মানা যায় না। এটা যে কোনও দলেরই পুরনো কর্মীদের খারাপ লাগার বিষয়'।