লোকসভা ভোটের মধ্যে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল বাংলায়। নির্বাচনের আগে ফের মুর্শিদাবাদে উত্তেজনা ছড়াল। বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটল জেলার বড়ঞা থানা এলাকায়। এই ঘটনায় জখম হয়েছেন দু'জন। একজনের হাতের অংশ উড়ে গিয়েছে। রাস্তায় পড়ে কয়েকটি ছিন্নভিন্ন আঙুল।
ঠিক কী ঘটেছে?
জানা গিয়েছে, বড়ঞা থানা এলাকার মোনাইকান্দারা গ্রামে গতরাতে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছনে সকেট বোমা বাঁধার কাজ করছিলেন কয়েক জন যুবক। সেখানে দুই 'বহিরাগত'ও ছিলেন বলে দাবি। বোমা বাঁধার সময়ই বিস্ফোরণ ঘটে বলে দাবি করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় জখম হয়েছেন ২ জন। তাঁদের মধ্যে এক জনের আঙুল উড়ে গিয়েছে। ঘটনার পর পরই পলাতক ওই যুবকরা। এই ঘটনায় প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, যে স্কুলের পিছনে বোমা বাঁধার কাজ চলছিল, সেখানেই ভোটকেন্দ্র করা হয়। মুর্শিদাবাদে ভোট ৭ মে। তার পরে ১৩ মে বহরমপুরে ভোট। নির্বাচনের আগে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। স্বাভাবিক ভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে বিস্ফোরণের প্রমাণ মিলেছে। তবে কোনও বোমা উদ্ধার করা হয়নি। বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে যাঁরা জখম হয়েছেন, তাঁদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে। এলাকার কোনও হাসপাতালেই ওই ২ জখম চিকিৎসাধীন নেই বলে খবর। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
সম্প্রতি রামনবমী উদযাপন ঘিরে অশান্তির ঘটনা ঘটেছিল মুর্শিদাবাদের একাংশে। রামনবমী নিয়ে অশান্তির মামলার শুনানি চলাকালীন রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। রামনবমীর দিন মুর্শিদাবাদে অশান্তির ঘটনায় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের তাত্পর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ, রামনবমীর শোভাযাত্রা ঘিরে যে সব কেন্দ্রে হিংসা হয়েছে, সেই সব কেন্দ্রে ভোটগ্রহণই বন্ধ করে দেওয়া উচিত। হাইকোর্ট বলেছে, 'যদি মানুষ শান্তি ও সম্প্রীতির মধ্যে বাস না করতে পারে, আমরা বলব, নির্বাচন কমিশন ওই সব জেলায় লোকসভা ভোটই বন্ধ করুক। এটাই একমাত্র রাস্তা। নির্বাচনী আদর্শ আচরণ বিধি লাগু হওয়ার পরেও দুই গোষ্ঠী এই ভাবে হিংসা করছে। ওরা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি পাওয়ার যোগ্যই নয়।'