এখনও লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়নি। তার আগেই শুক্রবার যেন বাংলায় ভোটের দামামা বেজে গেল। এদিন রাজ্যে পা রাখতে চলেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সূত্রের খবর, প্রথম দফায় ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় জেলায় পৌঁছবেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। কলকাতাতেও কয়েক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসার কথা শুক্রবার। এই প্রতিবেদন লেখার সময় ইতিমধ্যেই রাজ্যের কোথাও কোথাও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা এসে পৌঁছেছেন।
অন্য দিকে, রবিবার রাজ্যে নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিরা আসতে পারেন বলে সূত্রের খবর। ৫ মার্চ পর্যন্ত থাকবেন তাঁরা। রাজ্যে ভোট প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে এই সফর বলে জানা যাচ্ছে। গত কয়েক মাস ধরে প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে সমস্ত রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের (সিইও) সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করছে কমিশন। সিইও-রা সমস্যার ক্ষেত্রগুলি তালিকাভুক্ত করেছেন। ইভিএম, নিরাপত্তা বাহিনীর প্রয়োজনীয়তা, সীমান্তে সতর্কতা বাড়ানো-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছে কমিশন।
অন্য দিকে লোকসভা ভোট কবে, তা নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। কমিশন সূত্রে খবর, ১৩ মার্চের পর লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করা হতে পারে।
সন্দেশখালিকাণ্ডের আবহে শুক্রবার রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন হুগলির আরামবাগে সভা করবেন মোদী। দুপুর ৩টেয় সভা করার কথা প্রধানমন্ত্রীর। বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে সন্দেশখালিকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানকে। সন্দেশখালির ঘটনায় সরগরম রাজনীতির ময়দান। এই প্রেক্ষাপটে মোদীর বঙ্গসফর নয়া মাত্রা যোগ করেছে। আরামবাগের সভা থেকে মোদী কী বার্তা দেন, সেদিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। গত সপ্তাহে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছিলেন,সন্দেশখালির মানুষ চাইলে তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাবেন। সূত্রের খবর, শনিবারও রাজ্যে থাকবেন মোদী। শনিবার কৃষ্ণনগরে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। এর পর ৬ মার্চ বারাসতে সভা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। বৃহস্পতিবার রাতে আরামবাগে প্রধানমন্ত্রীর সভার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। প্রধানমন্ত্রীর সভা ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।