scorecardresearch
 

Sandeshkhali: TMC-র ব্রিডেগের দিনই সন্দেশখালিতে CPIM-এর পাল্টা স্ট্র্যাটেজি, পুলিশের অনুমতি মিলবে?

১০ মার্চ ব্রিগেড সমাবেশ করবে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। সমাবেশের নাম দেওয়া হয়েছে ‘জনগর্জন সভা’। সেই সভার প্রধান বক্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে, ওইদিনই নতুন কর্মসূচির কথা ঘোষণা করল সিপিএম।

Advertisement
CPM wants to hold a meeting on Sandeshkhali CPM wants to hold a meeting on Sandeshkhali
হাইলাইটস
  • ১০ মার্চ ব্রিগেড সমাবেশ করবে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস
  • মমতার ব্রিগেডের দিনেই সভা করতে চায় সিপিএম

১০ মার্চ ব্রিগেড সমাবেশ করবে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। সমাবেশের নাম দেওয়া হয়েছে ‘জনগর্জন সভা’। সেই সভার প্রধান বক্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে, ওইদিনই নতুন কর্মসূচির কথা ঘোষণা করল সিপিএম। তারা ওইদিনই সভা করার পরিকল্পনা করেছে। তবে কলকাতায় নয়, ওইদিন সভা হবে সন্দেশখালিতে। যদিও সভার জন্য পুলিশের অনুমতি এখনও পাওয়া যায়নি। কারণ, বর্তমানে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার এই এলাকাতে। আলিমুদ্দিন স্ট্রিট সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০ মার্চ সন্দেশখালি দ্বীপে সভা করা হবে। সভার অনুমিত জন্য পুলিশের কাছে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। রবিবার বিকেলেই ওই চিঠি পাঠানো হয়। পুলিশ এখনই অনুমতি না দিলেও ভেবে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে মোখিক ভাবে।

আজ সোমবার সন্দেশখালি যাচ্ছে বাম সমর্থিক শ্রমিক, কৃষক, ক্ষেতমজুর সংগঠনের প্রতিনিধি দল। মঙ্গলবার যেতে পারেন বামপন্থী মনোভাবাপন্ন শিল্পী, সাহিত্যিক, অভিনেতা-সহ বিশিষ্টদের। ২৯ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালি যাবে সিপিএমের প্রতিনিধি দল। নেতৃত্বে থাকবেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। বাম শরিক দলগুলির অন্য নেতারাও থাকতে পারেন।

শনিবার সন্দেশখালিতে গিয়েছিলেন সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। শাড়ি ও হিজাব পরে ‘ছদ্মবেশে’ তিনি সন্দেশখালিতে ঢুকেছিলেন। যদিও পরে পুলিশ তাঁকে চিনে ফেলে আটকায়। সন্দেশখালিতে গিয়ে নিরাপদ সর্দারের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন মীনাক্ষীরা। তার পর গ্রামে গ্রামে ঘোরেন। পরে বসিরহাটের পুলিশ সুপারের অফিসে গিয়ে স্মারকলিপি জমা দেন। জানা গেছে, নির্যাতিতা মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেছেন মীনাক্ষী। কথা বলেন ভূমিহীন কৃষক ও খেতমজুরদের সঙ্গেও যাদের জমি-ভেড়ি দখল নিয়েছে শেখ শাহজাহান বাহিনী। মীনাক্ষীর সন্দেশখালি পৌঁছনোর কোনও আগাম খবর ছিল না বসিরহাট জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বাহিনীর কাছেও। তাই পুলিশের নজরে আসার আগে বিনা বাধাতেই বেশ কিছুটা ঘুরে ফেলেন তিনি। শাড়ি পরে মুখ হিজাবে ঢেকে ধামাখালি থেকে ভটভটিতে ওঠেন তিনি। পুলিশের কেউ মীনাক্ষীকে চিনতে পারেনি বলে খবর। সন্দেশখালি কাণ্ডে ধৃত নিরাপদ সর্দারের বাড়িতে যান মীনাক্ষী। এরপরই পুলিশ আটকে দেয় মীনাক্ষীকে। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। এরপর বসিরহাটে পুলিশ সুপারের অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা দেন মীনাক্ষীরা।

আরও পড়ুন

Advertisement

গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি, ২০১১ র পর থেকে ওই গ্রামে সিপিএমের পতাকা ওড়েনি। বহুবছর পর মীনাক্ষি পা রাখাতে সন্দেশখালির মাটিতে ফের উড়ল লাল পতাকা। এর আগেও একবার মীনাক্ষী সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু সে-বার সফল হননি। পুলিশের বাধায় ফিরে যান ডিওয়াইএফআই নেত্রী।আগামী ২ মার্চ আবারও মীনাক্ষীরা সন্দেশখালি যেতে পারেন। সেদিন ডিওয়াইএফআই বসিরহাট এসপি অফিস অভিযানের ডাক দিয়েছে।

Advertisement