Dinhata BJP-Tmc Clash: দিনহাটায় দুই মন্ত্রীর বচসা ও অনুগামীদের হাতাহাতির ঘটনা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে দিনহাটা গেলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। কথা বলেন সব পক্ষের সঙ্গে। তিনি অবশ্য কোনও রকম হিংসা বরদাস্ত করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। এক্ষেত্রে তিনি ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়ে চলবেন বলে জানিয়ে দেন। দিনহাটায় সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এমনটাই জানালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এদিন রাজ্যপাল সন্ধ্যে ৭টা নাগাদ বাগডোগরা থেকে সড়ক পথে দিনহাটা গিয়ে পৌঁছন। সেখানকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দেখা করেন। এরপর দিনহাটা থানার আধিকারিকে ও জেলা পুলিশের আধিকারিকদের কাছ থেকে ঘটনার বিবরণ শোনেন।
এরপরই তিনি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান, নির্বাচনি বিধি লাগু হয়েছে তাই কোনও ধরণের সংঘর্ষ মেনে নেওয়া হবে না। যে কোনও রাজনৈতিক সংঘর্ষ দমনে জিরো টলারেন্সে নীতি নেওয়া হবে। পাশাপাশি এদিন দিনহাটাবাসী কোনও রকম ভীতি এড়িয়ে এগিয়ে এসে সমস্য়া তুলে ধরায় তাঁদের প্রশংসা করেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে রাজ্যপালকে অভিযোগ জানান তৃণমূল কর্মীরাও।
রাজ্যপাল বলেন, "হিংসা, গুন্ডামির জায়গা নেই এই রাজ্যে। বাংলার যে কোনও নাগরিকই চান স্বচ্ছ ও অবাধ ভোট। আমি সবার সঙ্গে আছি।" রাজভবন লোকসভা পোর্টাল চালু করেছে বলে জানিয়ে দেন তিনি। তাতে যে কোনও নাগরিক রাজ্যপালের কাছে সরাসরি অভিযোগ করতে পারবেন বলেও জানিয়ে দেন। তিনি বলেন, সারা বিশ্বের কাছে বাংলা প্রমাণ করে দেবে যে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট করতে সমর্থ। মানুষ শান্তি চায়। মানুষ শান্তিতেই থাকবেন।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে লোকসভা নির্বাচনের প্রচার ঘিরে এদিন দিনহাটায় তৃণমূল এবং বিজেপি-র মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। জানা গিয়েছে, এদিন প্রচার সেরে ভেটাগুড়ি ফিরছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা কোচবিহারে বিজেপি-র প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik)। তিনি এখনও দেশের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীও। সেই সময় দিনহাটায় উদয়নের জন্মদিনের উদযাপন করছিলেন উদয়ন সমর্থকরা। তৃণমূলের অভিযোগ, নিশীথের কনভয় থেকে তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা চালানো হয়, তাতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অন্যদিকে নিশীথবাবুর অভিযোগ তৃণমূলের জমায়েত থেকে পাথর ছোড়া হয়। অস্ত্র ও বন্দুক নিয়ে হামলা চালান দুষ্কৃতীরা।
এমনিতেই দিনহাটার রাজনৈতিক দুর্নাম তৈরি হয়েছে গত কয়েক বছরে। প্রতিটি ভোটেই বোমাবাজি, গুলি, সংঘর্ষ, খুনের ঘটনা সামনে এসেছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই ঘটনায় আদতে বিজেপির হাতেই একটা বড় ইস্যু চলে এল। প্রার্থী হিসেবে নিশীথের নামই আগে ঘোষণা করা হলেও প্রচারে এখনও অবধি এগিয়ে ছিল তৃণমূলই। কিন্তু এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবার প্রচারে হইচই ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে বিজেপি। ফ্রন্টফুটে থাকা তৃণমূল এর ফলে আসন্ন নির্বাচনে সমস্যায় পড়তে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।