গুজরাটের সুরাত লোকসভা কেন্দ্রে ভোটের আগেই বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী মুকেশ দালাল। ওই কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী নীলেশ কুম্ভনির মনোনয়ন বাতিল হয়েছিল। বাকি প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছিলেন। এই নিয়ে ভোট শেষে মুখ খুলল নির্বাচন কমিশন।
সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে নির্বাচন কমিশনের তরফে বলা হয়েছে, 'প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটের পক্ষে আমরা। কোনও প্রার্থীকে যদি জোর করে মনোনয়ন প্রত্যাহার করার অভিযোগ ওঠে, সেক্ষেত্রে আমরা হস্তক্ষেপ করব।'
উল্লেখ্য, সুরাতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভোটের আগেই জয়ী হয়েছেন সেখানকার বিজেপি প্রার্থী মুকেশ দালাল। ওই কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী নীলেশ কুম্ভনির মনোনয়ন বাতিল হয়েছিল। ওই কেন্দ্রে বাকি ৮ জন বিরোধী প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। তার ফলেই বিনা লড়াইয়ে জয়ী হন বিজেপি প্রার্থী। যা ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল।
গুজরাটের সুরাটের পর মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন ইন্দোরের কংগ্রেস প্রার্থী অক্ষয় কান্তি বাম্ব। অক্ষয়ের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে সে রাজ্যের মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয় লিখেছিলেন, 'দলে স্বাগত'। ইন্দোরের কংগ্রেস প্রার্থীর এমন পদক্ষেপে স্বভাবতই অস্বস্তিতে পড়েছিল হাত-শিবির।
এ বার ভোটযুদ্ধে ৪০০ আসন জেতার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে মোদী বাহিনী। বিজেপি একক ভাবে ৩৭০ আসন পেতে মরিয়া। সবমিলিয়ে ৪০০ আসন নিজেদের দখলে রাখতে চায় এনডিএ। সেই লক্ষ্যপূরণে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহরা। পুরোদমে চলছে প্রচার পর্ব।
অন্য দিকে, রাত পোহালেই ভোট গণনা। তার আগে শনিবার প্রকাশ্যে এসেছে বুথ ফেরত সমীক্ষা বা এগজিট পোলের ফল। বিবিধ বুথ ফেরত সমীক্ষায় ইঙ্গিত মিলেছে যে, ফের একবার ক্ষমতায় আসছে বিজেপি। ইন্ডিয়া টুডে অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়া এগজিট পোলের ফলে বিজেপি পেতে পারে ৩৬১-৪০১টি আসন। ইন্ডিয়া জোট পেতে পারে ১৩১-১৬৬টি আসন। বুথফেরত সমীক্ষার ফল অনুযায়ী, বাংলার ৪২টি আসনের মধ্যে বিজেপি পেতে পারে ২৬-৩১টি আসন, তৃণমূল পেতে পারে ১১-১৪টি আসন। বাম-কংগ্রেস জোট পেতে পারে ২টি আসন। বিভিন্ন সংস্থা বুথ ফেরত সমীক্ষা চালায়। ভোটারদের মনোভাবের উপর ভিত্তি করে এই সমীক্ষা করা হয়। এক্সিট পোলের ফল দেখে ভোটের ফল নিয়ে মোটামুটি আন্দাজ পাওয়া যায়। তবে সবসময় যে এক্সিট পোলের গণনা একদম সঠিক হয়, তা কিন্তু নয়। অতীতে বহুবার দেখা গিয়েছে, এক্সিট পোলের ফলাফল বাস্তবে মেলেনি। তাই এক্সিট পোলের গণনা যে পুরোপুরি মিলে যাবে তার কোনও নিশ্চয়তা নেই।