রবিবার ১০ মার্চ ব্রিগেডে তৃণমূলের জনগর্জন সমাবেশ। আর তার আগে নিরাপত্তাও বিন্দুমাত্র ফাঁক রাখতে নারাজ কলকাতা পুলিশ। ব্রিগেডে তৃণমূলের জনগর্জন সভা উপলক্ষ্যে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এই ধরনের বড় সভাতে কলকাতার পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী জেলাগুলি থেকেও প্রচুর কর্মী-সমর্থকরা আসেন। আর সেই কারণে হাওড়া ও শিয়ালদা স্টেশন থেকেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করছে পুলিশ। এই দুই স্টেশন থেকেই বড় বড় মিছিল আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এর মধ্যে হাওড়ার দিক থেকে মিছিলগুলি আসবে হাওড়া ব্রিজ পেরিয়ে স্ট্র্যান্ড রোড ও ব্রেবোর্ন রোড ধরে। অন্যদিকে শিয়ালদা থেকে মিছিল, কর্মী-সমর্থকরা মৌলালি, ধর্মতলা হয়ে ব্রিগেডে পৌঁছবেন। ফলে এই দুই রুটে বাড়তি নিরাপত্তা, পুলিশ মোতায়েন করা হবে। লোকের ভিড়ের কারণে রাস্তায় যাতে যান চলাচলে সমস্যা না হয়, সেদিকেও বাড়তি নজর রাখতে হবে। জনগর্জন সভার জন্য আগামিকাল ভোর ৪টে থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বিভিন্ন রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
উল্লেখ্য, শনিবার থেকেই কলকাতায় আসতে শুরু করে দিয়েছেন তৃণমূলের কর্মী, সমর্থকরা। তাঁদের কসবার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, নেতাজি ইন্ডোর, ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে রাখা হবে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড-সহ মধ্য কলকাতার বেশ কিছু জায়গাকে ১০টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। এভাবে ভাগ করে নিয়ে প্রতিটি অংশের জন্য নিরাপত্তা জোরদার করা হবে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার একজন অফিসার।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই সভাস্থলে মঞ্চ বাঁধার কাজ প্রায় শেষ। গত বৃহস্পতিবার সভায় নিরাপত্তা, প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে ব্রিগেডে গিয়েছিলেন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল।
জনগর্জন সমাবেশের জন্য মোট ৩টি মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। মূল মঞ্চে থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের বাকি নেতানেত্রীরা। অন্যদিকে বাকি দুই মঞ্চে তৃণমূলের সাংসদ-বিধায়ক এবং জনপ্রতিনিধিরা থাকবেন। জনগর্জন সমাবেশে বিপুল সংখ্যক মানুষের ভিড় হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই নিরাপত্তায় ও ভিড় নিয়ন্ত্রণে কোনওরকম ফাঁক রাখতে চাইছে না পুলিশ।