scorecardresearch
 

PM Modi: 'মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে নেহরু, ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধীদের লালকেল্লার ভাষণ শুনে নিন,' বললেন মোদী

Narendra Modi Interview: আজ লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফার ভোট। আর এই বিশেষ দিনেই আজতককে একান্ত সাক্ষাৎকার দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, 'স্বাধীনতার পর এদেশে সবচেয়ে বেশি মূল্যবৃদ্ধি হয়েছিল ইন্দিরা গান্ধীর আমলে। আপনি লাল কেল্লা থেকে পন্ডিত নেহেরু, ইন্দিরা গান্ধী এবং রাজীব গান্ধীর বক্তৃতা শুনে নিন। আমাদের আলাদা করে কিছু বলার প্রয়োজন নেই।'

Advertisement
হাইলাইটস
  • আজ লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফার ভোট। আর এই বিশেষ দিনেই আজতককে একান্ত সাক্ষাৎকার দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
  • মুদ্রাস্ফীতি থেকে শুরু করে কর্মসংস্থান, সব বিষয় নিয়েই কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
  • বিরোধীদের বিভিন্ন অভিযোগের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'বিদ্যুতের বিল দেখুন। LED বাল্ব নিয়ে এসেছি। আজ প্রতি পরিবারের গড় বিদ্যুৎ বিল প্রায় ২ হাজার টাকা কমেছে। বিদ্যুতের লোড কমেছে।'

Narendra Modi Interview: আজ লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফার ভোট। আর এই বিশেষ দিনেই আজতককে একান্ত সাক্ষাৎকার দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মুদ্রাস্ফীতি থেকে শুরু করে কর্মসংস্থান, সব বিষয় নিয়েই কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। বিরোধীদের বিভিন্ন অভিযোগের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'বিদ্যুতের বিল দেখুন। LED বাল্ব নিয়ে এসেছি। আজ প্রতি পরিবারের গড় বিদ্যুৎ বিল প্রায় ২ হাজার টাকা কমেছে। বিদ্যুতের লোড কমেছে।' তিনি আরও বলেন, 'তাঁর (কংগ্রেস) সরকার যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন ২.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের উপরেও আয়কর দিতে হত। আজ, ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের উপর আয়কর দিতে হয় না। এর অর্থ আয়করে ছাড়ের মাধ্যমে হাজার হাজার টাকা সাশ্রয় হচ্ছে।'

প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমরা জন আরোগ্যে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা দিই। এর ফলে পরিবারের ওপর থেকে চিকিৎসার বোঝা কমে যায়। সাধারণ নাগরিককে ওষুধের জন্য অনেক টাকা খরচ করতে হত। আগে যে ওষুধ বাজারে ১০০ টাকায় পাওয়া যেত, আমরা তা কমিয়ে ১০ টাকা বা ২০ টাকায় দিচ্ছি। সেই বোঝা কমছে। বিনামূল্যে খাদ্যশস্য় পাচ্ছেন ৮০ কোটি মানুষ। দ্বিতীয়ত, স্বাধীনতার পর এদেশে সবচেয়ে বেশি মূল্যবৃদ্ধি হয়েছিল ইন্দিরা গান্ধীর আমলে। তৃতীয়ত, আপনি লাল কেল্লা থেকে পন্ডিত নেহেরু, ইন্দিরা গান্ধী এবং রাজীব গান্ধীর বক্তৃতা শুনে নিন। আমাদের আলাদা করে কিছু বলার প্রয়োজন নেই।'

'সে সময় তিনি অজুহাত খুঁজতেন'

প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, 'অবাক হয়ে যাবেন, পন্ডিত নেহেরু লাল কেল্লা থেকে ভাষণ দিচ্ছেন যে, দেশে মূল্যবৃদ্ধি অনেক বেড়েছে। আপনাদের মুখগুলো চিন্তিত, আমিও চিন্তিত। কিন্তু আপনাদের জানা উচিত যে, উত্তর কোরিয়া এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে। তাই মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। তখন বিশ্বায়নও ছিল না। উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার যুদ্ধ বিশ্বের কোনও অর্থনীতিতে কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি। কিন্তু সে সময়ও তিনি অজুহাত খুঁজতেন। আজ, যেখানে যুদ্ধ চলছে, সেগুলি হল বিশ্বের এমন এলাকা যা জ্বালানি, সার এবং খাদ্যের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। তা সত্ত্বেও আমরা পেট্রোলের দাম নিয়ন্ত্রণে রেখেছি। আমরা মূল্যস্ফীতি বাড়তে দিইনি।'

Advertisement

বিশ্ববাজারে ইউরিয়া বিক্রি হচ্ছে ৩,০০০ টাকায়, কিন্তু ভারতে ৩০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, 'এতসব প্রতিকূলতার মধ্যেও ইউরিয়াও পড়ে। বিশ্ব বাজারে এক ব্যাগ ইউরিয়া বিক্রি হয় ৩ হাজার টাকায়। এখানে কৃষকরা পান ৩০০ টাকায়। সেইজন্য ওঁরা মিথ্যাচার ও স্লোগান দিতে থাকে। কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে, তাঁদের সরকার যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন একশোটা মতো স্টার্টআপ ছিল। আজ ১.২৫-১.৫ লক্ষ স্টার্টআপ রয়েছে এবং টায়ার টু, টায়ার থ্রি শহরেও রয়েছে। একটি স্টার্টআপে ৪-৫ জনের কর্মসংস্থান হয়। মুদ্রা যোজনা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ স্কিম... কারণ আমরা চাই দেশের যে যুবকদের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা আছে, তারা যেন চাকরি পায়। কর্মসংস্থান এবং আত্মকর্মসংস্থানের সম্ভাবনা আছে এমন প্রত্যেকের কাছে এর সুবিধা এবং সুযোগ পৌঁছে দিতে হবে।'

মুদ্রা যোজনার অধীনে ৪২ কোটি ঋণ

প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, 'আমরা মুদ্রা যোজনা নিয়ে এসেছি, প্রায় ৪২ কোটি ঋণ পাস হয়েছে। প্রায় ২৫ থেকে ২৮ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। গ্যারান্টি ছাড়াই ঋণ প্রদান করা হয়। এর মধ্যে, ৭০ শতাংশেরও বেশি মানুষ এই প্রথমবারের মতো এই প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। প্রত্যেক ব্যক্তি কমপক্ষে ২ জনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেন। দ্বিতীয়ত, সরকার লাখ-লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে। এই লোকেরা যখন রাজ্যের মধ্যে পরিসংখ্যান দেয়, তারা বলে যে আমরা এত কর্মসংস্থান করেছি। কোনও রাজ্যে কর্মসংস্থান পাওয়া গেল, কিন্তু সেটা দেশের নয়, এমনটা কীভাবে হতে পারে? ওঁরা মিথ্যা বলছে এবং তাতে ওঁদের কোনও সমস্যাই নেই। দেশে কর্মসংস্থান ও স্বনির্ভরতার প্রসারের জন্য আমরা নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।'

সাক্ষাৎকার: হিমাংশু মিশ্র, এডিটর, টিভিটিএন

Advertisement