উত্তর ভারতে বিজেপির পোক্ত সংগঠন। কিন্তু দক্ষিণে গেরুয়া শিবির দুর্বল। সেই দুর্বলতা কাটাতেই এবার জোরকদমে মাঠে নেমেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। বারেবারে দক্ষিণে ছুটে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে তামিলনাড়ুতে আন্নামালাইয়ের মতো যুব নেতার উপর ভরসা রেখেছিল তারা। দক্ষিণ ভারতে বিজেপির কতটা লাভ হল? বুথফেরত সমীক্ষার ইঙ্গিতে উজ্জীবিত হতে পারেন বিজেপি নেতারা।
তামিলনাড়ু
দক্ষিণের এই রাজ্যে পদ্ম ফোটাতে জোর দিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুথফেরত সমীক্ষা বলছে, তামিলভূমে বিজেপির আসন সংখ্যা বাড়ছে না। কিন্তু ভোটের হার পৌঁছে গিয়েছে দুই অঙ্কে।
ভোটের হার
এনডিএ ২২%
ইন্ডিয়া ৪৬%
আসন সংখ্যা
এনডিএ ২-৪
কংগ্রেস ১৩-১৫
ডিএমকে ২০-২২
এআইএডিএমকে ০-২
কর্নাটক
কর্নাটক দক্ষিণের প্রবেশদ্বার। দক্ষিণ ভারতের একমাত্র রাজ্য যেখানে রাজ্য সরকার সামলেছে তারা। গতবছর কর্নাটক হারায় বিজেপি। তবে লোকসভা ভোটে মোদীর উপরেই সম্ভবত ভরসা রাখছেন কর্নাটকবাসী। বুথফেরত সমীক্ষা বলছে, কর্নাটকে ৫৫ শতাংশ ভোট পেতে পারে এনডিএ। আর ইন্ডিয়া জোটের ঝুলিতে যেতে পারে ৪১ শতাংশ ভোট। এ রাজ্যে জেডিএসের সঙ্গে জোট করে লড়ছে বিজেপি।
ভোটের হার
এনডিএ ৫৫%
ইন্ডিয়া ৪১%
আসন
বিজেপি ২০-২২
জেডিএস ৩
কংগ্রেস ৩-৫
কেরল
পশ্চিমবঙ্গের মতো কেরলেও ইন্ডিয়া জোট গঠন হয়নি। সে রাজ্যে আলাদা আলাদা লড়াই করছে বাম ও কংগ্রেস। তবে সামান্য হলেও কয়েকটি আসন পেতে পারে বিজেপি। বুথফেরত সমীক্ষায় অন্তত তেমন ইঙ্গিতই মিলেছে। এই রাজ্যে কংগ্রেস পেতে পারে ১৩ থেকে ১৪টি আসন। বাম জোট
ভোটের হার
এনডিএ ২৭%
ইন্ডিয়া ৪১%
আসন
কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ ১৭-১৮
এনডিএ ২-৩
বাম নেতৃত্বাধীন এলডিএফ ০-১