scorecardresearch
 

Diamond Harbour Lok Sabha Constituency 2024: ডায়মন্ড হারবারে অভিষেকের প্রতিপক্ষ লোকাল মুখ অভিজিৎ, পদ্ম ফুটবে?

লোকসভার হেভিওয়েট কেন্দ্র অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড় ডায়মন্ড হারবার। তিনটি লোকসভায় এই কেন্দ্র দখল রেখেছে তৃণমূল। অভিষেক পরপর দু'টি লোকসভায় জয়ী হন। সংখ্যালঘু ভোট এই কেন্দ্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই কেন্দ্রের জনসংখ্যা প্রায় ১৭ লক্ষ। অভিষেকের বিপরীতে তাঁকে পরাস্ত করতে বিরোধীরা কাকে দাঁড় করাবে তা নিয়ে প্রবল জল্পনা ছিল।

Advertisement
ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্র

Diamond Harbour Lok Sabha Constituency 2024: লোকসভার হেভিওয়েট কেন্দ্র অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড় ডায়মন্ড হারবার। তিনটি লোকসভায় এই কেন্দ্র দখল রেখেছে তৃণমূল। অভিষেক পরপর দু'টি লোকসভায় জয়ী হন। সংখ্যালঘু ভোট এই কেন্দ্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই কেন্দ্রের জনসংখ্যা প্রায় ১৭ লক্ষ। অভিষেকের বিপরীতে তাঁকে পরাস্ত করতে বিরোধীরা কাকে দাঁড় করাবে তা নিয়ে প্রবল জল্পনা ছিল। আইএসএফের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী এই আসন থেকে দাঁড়াবেন এমনও শোনা যাচ্ছিল। তবে তার কোনওটাই হয়নি। ডায়মন্ড হারবারে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা ছিল বামেদের দখলে। এই আসন দখলে মরিয়া বিজেপিও। আগামী ১ জুন এই কেন্দ্রে নির্বাচন।

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪-এ ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে প্রার্থী কারা?
ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আইএসএফের সঙ্গে আসন সমঝোতা না হওয়ায় সিপিএমের তরফে প্রতীক-উর-রহমানকে প্রার্থী করা হয়। অন্যদিকে, দীর্ঘদিনের বিজেপি নেতা অভিজিৎ দাস (ববি)-কে এই আসনে প্রার্থী করা হয়। সব শেষে এই আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে বিজেপি। আইএসএফ প্রার্থী মঞ্জু লস্কর। 

ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের পরিচিতি
এই কেন্দ্রে ভোটারের সংখ্যা ১৭,১৯,১৯০। পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৮,৩২,০৮৪ এবং মহিলা ভোটারের সংখ্যা ৮,৮৭,০৫০। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০৪ পর্যন্ত বাম প্রার্থী শমীক লাহিড়ী দখলে ছিল ডায়মন্ড হারবার। ২০০৯-এ শমীক লাহিড়ীকে হারিয়ে তৃণমূলের হয়ে সোমেন মিত্র জয়ী হন। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের রাজ্য ইউনিটের সভাপতি ছিলেন সোমেন মিত্র। ২০০৮ সালের জুলাইয়ে তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ছেড়ে প্রগতিশীল ইন্দিরা কংগ্রেস নামে একটি নতুন দল গঠন করেন। ২০০৯ সালের অক্টোবরে এই দল আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেসে যুক্ত হয়। এরপর তিনি সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগ করে, ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে তিনি কংগ্রেসে ফের যোগ দিয়েছিলেন। এরপর ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ সালে দ্বিতীয়বারের মতো পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি হয়েছিলেন। ২০২০ সালের ৩০ জুলাই তাঁর মৃত্যুর আগে পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

আরও পড়ুন

Advertisement

অভিষেক বনাম তরুণ তুর্কি প্রতীক-উর-রহমান বনাম বিজেপির অভিজিৎ দাসের লড়াই
বামেরা তাঁদের প্রার্থী তালিকায় তরুণ তুর্কিদের জায়গা দেয়। তারই এক উজ্জ্বল উদাহরণ, এই কেন্দ্রে প্রতীক-উর-রহমানকে দাঁড় করানো। সংখ্যালঘু ভোট টানতে প্রতীক-উরকে এই কেন্দ্রে দাঁড় করানো হয়। যদিও আগে জল্পনা চলছিল নওশাদ এই আসনে অভিষেকের বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন। পাশাপাশি, বিজেপির প্রার্থী অভিজিৎ দাস (ববি) এই কেন্দ্র থেকে ২০১৪ সালে লড়েছিলেন। সেবার ভোটে প্রথম লড়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। অভিজিৎ ভোটে দাঁড়ালেও তৃতীয় স্থান অর্জন করেন। তিনি ভোট পেয়েছিলেন ২ লক্ষ ৮৫৮ টি। সেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পেয়েছিলেন ৫ লক্ষ ৮ হাজারেরও বেশি ভোট। দ্বিতীয় স্থান পেয়েছিলেন সিপিআই এম প্রার্থী আবুল হাসনত। ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটেও দাঁড়িয়েছিলেন অভিজিৎ দাস। 

গত লোকসভাগুলির ইতিহাস 
শেষ লোকসভায় ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পেয়েছিলেন ৭,৯১,১২৭ ভোট। বিজেপি প্রার্থী নীলাঞ্জয় রায় পেয়েছিলেন  ৪,৭০,৫৩৩ ভোট। তাঁর সঙ্গে কড়া টক্কর হয়। শেষবার এই কেন্দ্রে সিপিআইএম প্রার্থী ফুয়াদ হালিম পেয়েছিলেন ৯৩,৯৪১ ভোট। কংগ্রেস প্রার্থী সৌম্য আইচ রায় পেয়েছিলেন ১৯,৮২৮ ভোট।

Advertisement