আজ ফের পশ্চিমবঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। আবারও উত্তরবঙ্গ। মার্চেই তিনি সভা করেছেন শিলিগুড়িতে। আজ সভা কোচবিহারে। ঘটনাচক্রে আজ কোচবিহারের (Cooch Behar) মাথাভাঙাতেই সভা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার নির্যাস, কোচবিহারে আজ দুটি মেগা র্যালি। প্রধানমন্ত্রী মোদীর ভাষণের প্রতি মুহূর্তের আপডেট রইল।
কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার পর্যটনের নয়া দিগন্ত হতে চলেছে: মোদী
পশ্চিমবঙ্গকে কেন্দ্র রেকর্ড টাকা দিলেও, তৃণমূল কংগ্রেসের বাধায় কাজ হচ্ছে না। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার পর্যটনের নয়া দিগন্ত হতে চলেছে। বিজেপি-ই একমাত্র রাজবংশী পরম্পরাকে সম্মান দিতে পারে, বিজেপি-ই পারে চা বাগানে শ্রমিকদের কল্যাণে কাজ করতে পারে। কোচবিহারে নিশীথ প্রামণিক ও আলিপুরদুয়ারে মনোজ টিগ্গাকে অনেক ভোট দিয়ে জয় করুন। নিশীথজিকে রেকর্ড ভোট দিয়ে লোকসভায় পাঠান। যতই গরম পড়ুক, ভোর হলেই ভোট দিয়ে দিন। সকাল সকাল। আমার একটা কাজ করবেন?
১০ বছরে যা হল, ওটা শুধু ট্রেলার ছিল: মোদী
প্রধানমন্ত্রী বললেন, ১০ বছরে যা হল, ওটা শুধু ট্রেলার ছিল। এখনও অনেক কিছু করা বাকি আছে। এখন দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবো। আমার বিরোধীরা বলে, মোদীর কোনও পরিবার নেই। আরে মোদীর জন্য গোটা ভারতটাই পরিবার। আমার ভারত, আমার পরিবার। বাংলার উন্নয়নের জন্য এখানে বিজেপি-র মজবুত হওয়া খুব দরকার। বিজেপি-ই একমাত্র দল, যারা এখানে মা-বোনেদের উপর অত্যাচার রুখতে পারে। গোটা দেশ দেখেছে, কীভাবে তৃণমূল সরকার সন্দেশখালির দোষীদের বাঁচাতে পুরো শক্তি কাজে লাগাচ্ছে। সন্দেশখালির মহিলাদের সঙ্গে যা ঘটেছে, তা তৃণমূলের অত্যাচারের পরাকাষ্ঠা ছিল। বিজেপি সঙ্কল্প নিয়েছে, সন্দেশখালির দোষীদের সাজা দেওয়া হবেই। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার সহ গোটা এলাকায় অনন্ত সম্ভাবনাময়। বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য করা যাতে সহজ হয়, তার জন্য আমরা নিরন্তর চেষ্টা করছি। কিন্তু তৃণমূল, বাম ও কংগ্রেসের জোট, মিথ্যের রাজ এরা রাজবংশী, নমঃশূদ্র ও মতুয়াদের দিকে তাকায়নি। আজ যখন বিজেপি সিএএ আনল, এরা চিত্কার করছে। সবাইকে নাগরিকত্ব দেওয়া মোদীর গ্যারান্টি।
তৃণমূল নেতাদের বাড়ি থেকে টাকার পাহাড় পাওয়া যাচ্ছে: মোদী
তৃণমূল, কংগ্রেস ও বামেদের কটাক্ষ করে মোদী বললেন, এই তৃণমূল, বামপন্থীরা ভয় দেখাবে, কিন্তু আপনারা আমার কাজ গত ১০ বছর দেখেছেন। আপনারা মোদীর গ্যারান্টির উপর ভরসা করতে পারেন। তৃণমূল, কংগ্রেস ও বামেদের রাজনীতি টিকেই রয়েছে অপপ্রচারের উপর। ইন্ডি জোট নিজেরাই মিথ্যের উদাহরণ। এখানে তৃণমূল, কংগ্রেস ও বামেরা লড়াই করে। দিল্লিতে সবাই একসঙ্গে থাকে, এক থালায় খায়। এখন দেখুন, রেশন দুর্নীতি, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিবাজদের বাঁচাতে চেষ্টা চালাচ্ছে। তৃণমূল নেতাদের বাড়ি থেকে টাকার পাহাড় পাওয়া যাচ্ছে। আপনারা আমায় বলুন, আপনাদের যারা লুঠ করেছে, তাদের শাস্তি হওয়া দরকার কিনা? এই টাকা আপনাদের টাকা। আর এদের বাঁচাতে তদন্ত করতে দিচ্ছে না আর দিনরাত মোদীকে গালি দিচ্ছে। আমি বলি, দুর্নীতিবাজদের হঠাও, ওরা বলে দুর্নীতিবাজদের বাঁচাও। আমি এই দুর্নীতিবাজদের বলতে চাই, আপনাদের হুমকিতে কিচ্ছু হবে না। এটা মোদী, দুর্নীতিবাজদের শাস্তি দিয়েই ক্ষান্ত হবে। আগামী ৫ বছরে দুর্নীতিবাজদের উপর আরও কড়া অ্যাকশন হবে। এই ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসকে কড়া বার্তা দেওয়া খুব জরুরি। কারণ, আমি বাংলার জন্য যা প্রকল্পই আনি, বাংলার সরকার এখানে তা হতেই দেয় না।
উদ্দেশ্য সঠিক। তাই পরিণামও সঠিক: মোদী
তাই আমি বলি, উদ্দেশ্য সঠিক। তাই পরিণামও সঠিক। বাংলায় বললেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বললেন, মোদীর উদ্দেশ্য সঠিক বলেই কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল হয়েছে। মোদীর উদ্দেশ্য সঠিক বলেই ৫০০ বছর পর অযোধ্যায় ভগবান রামের মন্দির তৈরি হয়েছে। তাই দেশ বলছে, অন্য লোকের থেকে যখন আশা একেবারে শেষ হয়ে যায়, সেখান থেকেই শুরু হয় মোদীর গ্যারান্টি।
মোদীর কথায়, আপনারা চান, দেশ বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হোক। এর জন্য মজবুত সরকার চাই। কাজ করার সরকার চাই। স্বাধীনতার পর থেকে আমাদের দেশে ৬-৭ দশক ধরে মানুষ কেন্দ্র সরকারে শুধুমাত্র কংগ্রেসের মডেল দেখেছে। এই প্রথম গত ১০ বছরে বিজেপি সরকারের মডেল দেখলো। আজ দুনিয়া বলছে, মোদী মজবুত নেতা। মোদী কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া নেতা। কিন্তু আমি বলব, হাত জোড় করে, মোদী তো ভারতের জনতার খুব সামান্য সেবক। মোদী কড়া ও বড় সিদ্ধান্ত নেয়, কারণ তাকে ১৪০ কোটি ভারতবাসীর স্বপ্ন পূরণ করতে হয়। তাি মোদীর গ্যারান্টি হল, আপনার স্বপ্নই মোদীর সঙ্কল্প। মোদী গরিবকে তাঁদের হক দিয়েছেন, গরিবকে যারা লুঠেছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া সিদ্ধান্তও নিয়েছে।
মমতাদিদিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই: মোদী
মোদীর কথায়, মমতাদিদিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। ২০১৯ সালে একটা বড় মঞ্চ করে মাঠ ছোট করে দিয়েছিলেন। আমি ওই দিন বলেছিলাম, দিদি আপনি কাজটা ভালো করলেন না। জনতা জবাব দেবে। আপনারা জবাব দিয়েও দিয়েছেন। আজ উনি এমন কিছুই করেননি আজ। আপনাদের সকলকে দেখার সুযোগ হল আজ। আমার জীবন ধন্য হয়ে গেল। বাংলা সরকার কোনও বাধা না দেওয়ায় আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ভাষণ শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
সকল কোচবিহারবাসীকে আমার দন্ডবত প্রণাম। আমি মদনমোহন ঠাকুর ও বোরোদেবীকে শ্রদ্ধার সঙ্গে প্রণাম করছি। আজ কোচবিহারের সঙ্গে সঙ্গে আলিপুরদুয়ার থেকেও এত মানুষ এসেছেন।
চা বানালেই প্রধানমন্ত্রী মোদী হতে পারবেন না, মমতাকে কটাক্ষ সুকান্তর
জলপাইগুড়িতে ঝড়ে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের আত্মার শান্তি কামনা করছি। বিজেপি সর্বদা ওই পরিবারগুলির পাশে থাকবে। আমাদের প্রার্থী উত্তরবঙ্গের ছেলে নিশীথ প্রামাণিককে কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী করেছেন, তার জন্য মোদীজিকে ধন্যবাদ। শুনলাম, উত্তরবঙ্গে এসে চা বানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শুনে রাখুন, চা বানালেই প্রধানমন্ত্রী মোদী হতে পারবেন না।বললেন বিজেপি-র রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
মোদীকে দোতারা দিয়ে স্বাগত জানানো হল
প্রধানমন্ত্রী মোদীকে দোতারা দিয়ে স্বাগত জানানো হল। দোতারা বাজালেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী মোদী
কোচবিহারে রাস ময়দানে মঞ্চে উঠছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
LIVE: কোচবিহারে প্রধানমন্ত্রী শ্রী @narendramodi জীর বিজয় সংকল্প সভা। #ModiMoyPoschimbongo https://t.co/nSBXZ5zGcB
— BJP West Bengal (@BJP4Bengal) April 4, 2024
কোচবিহারে মোদীর সভা
কোচবিহারে নামল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হেলিকপ্টার। একটু পরেই রাসমেলা ময়দানে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
কোচবিহার রাসমেলা ময়দানে মানুষের উচ্ছ্বাস বলছে, এইবার ৪০০ পার। #ModiMoyPoschimbongo pic.twitter.com/Lc5bPpkQky
— BJP West Bengal (@BJP4Bengal) April 4, 2024
কোচবিহারে সভার আগে বার্তা মোদীর
কোচবিহারে সভার আগে X হ্যান্ডেলে বাংলায় পোস্ট করলেন প্রধানমন্ত্রী। লিখলেন, তিনি কোচবিহারের জনসাধারণের কাছে যাওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছেন।
আমি কোচবিহারের জনসাধারণের মধ্যে আসার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছি আজ-ই দুপুর 3.30 নাগাদ @BJP4Bengalএর সমাবেশে ভাষণ দিতে।ওখানকার মানুষ আমাদের উন্নয়ন কর্মসূচিকে বিরাটভাবে সমর্থন করছেন আর, আমার দৃঢ় বিশ্বাস ওঁরা আবার বিজেপির প্রতি আস্থা বজায় রাখবেন ।
— Narendra Modi (@narendramodi) April 4, 2024