লোকসভা নির্বাচনে বিরাট জয় আসতেই কেন্দ্রে সরকার গঠন নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখনও পর্যন্ত যা ফলাফল এসেছে, তাতে লোকসভা নির্বাচনে ২৯৪টি আসনে এগিয়ে আছে এনডিএ জোট। আর ২৩১টি আসনে এগিয়ে আছে ইন্ডিয়া জোট। রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস একা ২৬টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। ৩টি আসনে তারা জয় পেয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে, ১২টি আসনে এগিয়ে আছে বিজেপি। কেন্দ্রে সরকার গড়ার জন্য কোনও দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ফলে এনডিএ জোট সরকার গড়বে নাকি ইন্ডিয়া জোট, তা নিয়ে জারি হয়েছে জল্পনা। গোটা বিষয়টি স্পষ্ট হতেই মঙ্গলবার কালীঘাটের বাড়িতে প্রথমে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে বৈঠক করেন মমতা। তার পরেই ডাকেন সাংবাদিক বৈঠক।
সেখানে তিনি বলেন, 'দিল্লির শিক্ষা নেওয়া উচিত। রিগিং করে কিছু হয় না। বাংলার সকল মানুষকে আমার অন্তরের অভিনন্দন। আজকে প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। এখনও ৪-৫টা জায়গার ফল আসেনি। বিজেপির অবজার্ভাররা আমাদের জেতা জায়গায় সার্টিফিকেট দিচ্ছে না। কাঁথিতে আমরাই জিতেছি। বিজেপিকে জয়ী ঘোষণা করবার জন্য আমাদের সার্টিফিকেট দিচ্ছে না। আমরা ওখানে আবার গণনার দাবি জানাচ্ছি।'
এরপরেই বিজেপি ও নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, 'নরেন্দ্র মোদীকে একক দল হিসেবে গুরুত্ব দেয়নি দেশের মানুষ। বাংলায় কয়েকটা আসনে আমরা হেরেছি ৪-৫ হাজার ভোটে। দরকারে কিছু হলে আবার গণনা হবে। তমলুকে ভোট হয়নি, রিগিং হয়েছে। ওখানে আবার গণনা হলে দেখা যাবে বিজেপি হেরেছে। তৃণমূলকে জোর করে হারানো হয়েছে। রাজ্য পুলিশকে কাজে লাগানো হয়নি। বিজেপির অবজার্ভার পাঠানো হয়েছে। আমি রাজনৈতিক বদলা নেব। এগজিট পোলে যা দেখিছিলাম তা বিশ্বাস হয়নি। এখানে নির্বাচনটা পরিচালনা করেছে এক গদ্দার। সো কলড হোম মিনিস্টারের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছে। আমি বাংলার মানুষের রায়ে খুশি। যে সন্দেশখালি নিয়ে রাজনীতি করেছে, কুৎসা করেছে, সেখানেও আমরা জিতেছি। ২৬ হাজার টিচারের চাকরি খেয়ে নিল। ১৫ লক্ষ ওবিসিটি সার্টিফিকেট বাতিল করে দিল। একদিকে, এনআইএ, সিবিআই লাগানো হয়েছে। আমি খুশি মোদীজি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাননি, নরেন্দ্র মোদীর প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করা উচিত। মোদী বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছেন। আমি তো আগেই বলেছিলাম ২০০ পার হবে না।'
এরপরেই মমতা বলেন,'আমি অখিলেশকে অভিনন্দন জানিয়েছি। ও খুব ভাল ফল করেছে। তেজস্বীর সঙ্গেও কথা হয়েছে। শরদ পাওয়ার, কল্পানা সোরনকে অভিনন্দন জানিয়েছি। যাদের ফোরে ধরতে পেরেছি তাদের অভিনন্দন জানিয়েছি। রাহুলকেও অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছি। মনে হয় উনি ব্যস্ত ছিলেন। ওরা এখনও আমাদের কারোর সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। না করলেও আমাদের কোনও যায় আসে না।'