লোকসভা ভোট দেওয়ার জন্য আধার কার্ড বাধ্যতামূলক নয়। বড় ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এসেছে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বাধীন ফুল বেঞ্চ। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানান, আধার নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলছেন। অনেকের মনে এও প্রশ্ন যে, আধার ছাড়া ভোট দেওয়া যাবে কি না। তবে কমিশন সাফ জানাচ্ছে, আধার ছাড়াও ভোট দিতে পারবেন ভোটাররা। তবে আধারের বিকল্প পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে হবে।
রাজীব কুমার বলেন, 'ভোটার স্লিপ ৫ থেকে ৬ দিন আগে পেয়ে যাবেন। যদি কারও আধার কার্ড না থাকে তাহলেও তিনি ভোট দিতে পারবেন। যাঁদের ভোটার কার্ড নেই, তাঁদের কাছে আরও ১২ থেকে ১৩ রকমের ডকুমেন্ট আছে। সেই সব দেখিয়েই ভোট দেওয়া যাবে। আধার বাধ্যতামূলক নয়। যদি ভোটার স্লিপ না থাকে তাহলেও ওই একই ডকুমেন্ট দেখিয়ে ভোট দেওয়া যাবে।'
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার আরও জানান, যদি কোনও ভোটার ছাপ্পা দেওয়ার চেষ্টা করে তাহলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কোনও অভিযোগ এলে রাজ্য প্রশাসন পদক্ষপ করবে। আর তারা যদি না করে তাহলে কমিশন তাদের দিয়ে কাজ করিয়ে নেবে। জাতীয় নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার আরও জানান, ভোটে অশান্তি রুখতে জিরো টলারেন্স নীতি নেওয়া হবে। রাজ্যের সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। অনেক রাজনৈতিক দলে রাজ্যে ভোটের পূর্ববর্তী হিংসা, ভোট চলাকালীন অশান্তির অভিযোগ জানিয়েছে। সেই কারণে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে যাতে একটিও অশান্তির ঘটনা না ঘটে সে ব্যাপারে সদর্থক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার আরও জানান, বাড়ি থেকেও ভোট দিতে পারবেন অনেকে। এই তালিকায় থাকবে শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী ও বয়স্করা। যাঁরা প্রতিবন্ধী তাঁদের জন্য হুইল চেয়ার প্রতিটি কেন্দ্রে থাকবে। তাঁরা এসে ভোট দিতে পারবেন। তবে যদি কেউ ৪০ শতাংশের বেশি প্রতিবন্ধী হন তাহলে বাড়ি থেকেই ভোট দিতে পারবেন। সেই বিষয়টি কমিশন সুনিশ্চিত করেছে।
মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে আরও সংযোজন, যাঁরা বয়স্ক তাঁরা বাড়িতে বসেই ভোট দিতে পারবেন। বয়স যদি ৮৫-র বেশি হয় তাহলে তাঁরা ভোট দেবেন বাড়িতে বসেই। রাজীব কুমারের কথায়, 'বয়স ৮৫-র বেশি হলে বাড়ি থেকেই ভোট দিতে পারবেন ভোটাররা। তবে পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, ভোট যেহেতু উৎসবের মতো তাই সবাই বুথে এসেই ভোট দিতে চান।'