scorecardresearch
 

Raju Bista Darjeeling: দার্জিলিংয়ে জিতেও দুশ্চিন্তায় রাজু, ভোটব্যাঙ্কে বড়সড় ধস, ভোট বাড়ল TMC-র

Loksabha Election 2024: মূল লড়াই রয়েছে বিজিপিএম সমর্থিত তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে এটা সবাই জানে। তবে ভোটে খেলা জমিয়ে দিয়েছে কং-বাম জোট। এমন একজনকে প্রার্থী করেছে তারা, যাঁর রাজনৈতিক যোগাযােগ নতুন হলেও সামাজিক সংগঠনের অভিজ্ঞতা দীর্ঘদিনের।

Advertisement
দার্জিলিংয়ে জিতেও দুশ্চিন্তায় রাজু, ভোটব্যাঙ্কে বড়সড় ধস, ভোট বাড়ল TMC-র দার্জিলিংয়ে জিতেও দুশ্চিন্তায় রাজু, ভোটব্যাঙ্কে বড়সড় ধস, ভোট বাড়ল TMC-র

Loksabha Election 2024: দার্জিলিংয়ে এবারও জয় পেল বিজেপি। পরপর এই আসন থেকে ৪ বার নিজেদের লোকসভা আসন ধরে রাখল তারা। আর এবার নিয়ে পরপর দুবার একই আসন থেকে জয় পেলেন বিজেপির রাজু বিস্তা। আর এই জয়ের পর এখানে মিশ্র অনুভূতির সৃষ্টি হয়েছে বিজেপি ও সহযোগী দলগুলির সমর্থকদের মধ্যে।

খাতায় কলমে ১ ভোটে জয়ও জয় হিসেবেই গণ্য হবে। সে জায়গায় কোনও সন্দেহ নেই। দ্বিতীয় স্থানে থাকা তৃণমূলের গোপাল লামার চেয়ে প্রায় ২ লক্ষের কাছাকাছি ভোটে জিতেছেন। ফলে দাপট নিয়েও সন্দেহ নেই। তারপরও খটকা থেকে যাচ্ছে ট্রেন্ড দেখে। কারণ গতবারের চেয়ে এই আসনে রাজুবাবু জিতেছিলেন ৪ লক্ষ ভোটের ব্যবধানে। ফলে ব্যবধান অর্ধেক হয়ে যাওয়াকে দলের কেউ কেউ অশনিসঙ্কেত বলে মনে করছেন। যদিও প্রকাশ্যে তাঁরা জয়ের খুশিই ব্যক্ত করেছেন। অন্যদিকে অনিত থাপাদের সঙ্গে থাকায় ছবিটা অনেকটা ভাল হয়েছে তৃণমূলের বলে মনে করছে অনেক নেতাই। যদিও তাঁরাও আপাতত প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হচ্ছেন না।

রাজু বিস্তা এবার পেযেছেন ৬ লক্ষ ৭৯ হাজার ৩৩১ ভোট। দ্বিতীয় স্থানে থাকা তৃণমূলের গোপাল লামার প্রাপ্ত ৫ লক্ষ ৮০৬ ভোট। ফলে এক তরফা লড়াই হয়নি এটা স্পষ্ট। গতবার ২০১৯ সালে তৃণমূল প্রার্থী অমর সিং রাই ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৬২৪ ভোট পেয়েছিলেন। এবার সেই ভোট বেড়েছে দেড় লক্ষের কাছাকাছি। অর্থাৎ ভোট স্যুইং হয়েছে অনেকটাই। এটাকে হার ধরবেন না জিত ধরবেন বুঝতে পারছেন দুই দলই।

তবে এবার বিজেপি প্রার্থী হিসেবে রাজুবাবুর কাছে চ্যালেঞ্জ কম ছিল না। প্রথমেই তাঁর বদলে প্রাক্তন বিদেশসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলার নাম। তা নিয়ে টানাপোড়েনের পর তাঁর নাম ঘোষণা হয়। প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই বিদ্রোহ করে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন দলেরই বিধায়ক বিষ্ণু প্রসাদ শর্মা। এমনকী গুরুংয়ের ছায়াসঙ্গী বন্দনা রাইও তাঁর প্রতিপক্ষ হয়ে যান। বিপক্ষে প্রার্থী হিসেবে ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী ‘কাজের মানুষ’ হিসেবে পরিচিত গোপাল লামা। ফলে লড়াইটা কঠিন ছিল রাজু বিস্টের কাছে। কিন্তু সেই লড়াইই শেষ পর্যন্ত জিতলেন তিনি।

Advertisement

জয়ের পর রাজু বিস্ট বলেন, ‘দলের প্রতিটি কর্মীর পরিশ্রম এবং উন্নয়নের জয়। উন্নয়নের প্রতি আস্থা রেখেই মানুষ তাঁদের আশীর্বাদ দিয়েছেন।’ এবার নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীকে সমর্থন করেছিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সুপ্রিমো বিমল গুরুং। আগে থেকেই তাঁর সঙ্গে ছিল বিশ্বস্ত জোটসঙ্গী জিএনএলএফ। অন্যদিকে তৃণমূল প্রার্থী গোপাল লামাকে সমর্থন করে অনীত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা। ফলে লড়াইটা কার্যত হয়ে দাঁড়ায় অনীতের সঙ্গে মোর্চা-জিএনএলএফের। আর সেই লড়াইয়ে যদিও অনিত থাপাকে আপাতত মাত দিলেন রাজুই।

 

Advertisement