কলকাতায় ভোটের আগে একেবারে স্বমেজাজে দেখা গেল মদন মিত্রকে। এত দিন নির্বাচনী প্রচারে কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ককে সেভাবে দেখা যায়নি। তবে প্রচারের শেষ লগ্নে সেই চেনা মেজাজে পাওয়া গেল তৃণমূল নেতাকে। তাঁর গলায় শোনা গেল দাওয়াই-এর কথা।
দাওয়াই প্রসঙ্গে মদন আরও বলেছেন, 'দমদম মানে দাওয়াই, এটা তো আমার কথা নয়। আমি যদি বলি ধোলাই হবে, সেটা অসংসদীয় কথা। তৃণমূল কর্মীরা জানে, কী দাওয়াই দিতে হবে, কোন মিক্সচার কোথায় দিতে হবে।' উল্লেখ্য, ভোটের সময় গুড়-বাতাসা, নকুলদানা খাওয়ানোর নানা দাওয়াই দিতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্টক। তবে বর্তমানে গরুপাচার মামলায় গ্রেফতারের পর এই মূহূর্তে তিহাড় জেলে বন্দি তিনি।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর উদ্দেশে বিশেষ দাওয়াই দিলেন মদন। বৃহস্পতিবার রাতে মদন বলেন, 'কেন্দ্রীয় বাহিনী, তারাও তো মানুষ। মানুষ যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে, তা হলে আমি তাঁকে ওআরএস দেওয়ার পক্ষে। কেন্দ্রীয় বাহিনী যদি মনে করে বড় বড় ওই লাঠি দিয়ে, স্টেইন গান দেখিয়ে আমাদের স্টলে এসে বলবে ওআরএস দাও। তাই হয় নাকি! লাঠি দেখিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা করলে, সেই লাঠি কেড়ে নেওয়ার ক্ষমতা তৃণমূলের ছেলেদের আছে।'
দমদমে এবারও তৃণমূলের প্রতীকে লড়ছেন সৌগত রায়। সৌগতের সঙ্গে মদনের বিভিন্ন বিষয়ে মতানৈক্য প্রকাশ্যে এসেছিল। সৌগতের নানা মন্তব্যের বিরোধিতা করতে দেখা গিয়েছিল মদনকে।
দমদমের সিপিএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, 'উনি সুস্থ হয়ে উঠুন, তারপরে দাওয়াই দেবেন। দাওয়াই দেওয়ার চেষ্টা করলে কারওরই ভা হবে না।'
অন্য দিকে, শনিবার কলকাতা-সহ রাজ্যের ৯টি কেন্দ্রে শেষ দফার ভোটগ্রহণ। ইতিমধ্যেই শহরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। শেষ দফার নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে বদ্ধপরিকর নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার প্রচারের শেষ লগ্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, 'দায়িত্ব নিয়ে কথা বলে বলছি, সম্ভবত যদি সব কিছু ঠিকঠাক থাকে, বিজেপি ক্ষমতায় আসছে না।' সম্প্রতি মমতা দাবি করেছিলেন, বিজেপি নয়, ক্ষমতায় আসছে 'ইন্ডিয়া জোট'। বনগাঁর সভায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, 'মোদী আসছে না।' মমতা বলেছিলেন, 'দুশোও পার হবে না, ৪০০ হবে কী করে!' এরপরেই মমতার ভবিষ্যদ্বাণী, 'মোদী আসছে না। ১৯০-১৯৫টি আসন পাবে বিজেপি। এখনও পর্যন্ত যা হিসেব করা হয়েছে, তাতে ইন্ডিয়া জোট ৩১৫টি আসন পাবে।'