শেষ দফার ভোট ১ জুন। ফল ঘোষণা ৪ জুন। ফলপ্রকাশের আগেই বৈঠকে বসতে চলেছে ইন্ডি জোটের শরিকরা। জানা গিয়েছে, ১ জুন দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিরোধী শিবিরের বৈঠক। তবে ওই বৈঠকে থাকবেন না তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বড়বাজারের নির্বাচনী সভা তিনি জানালেন, ১ জুন রাজ্যের ১০টি লোকসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ। সেটা ফেলে যেতে পারবেন না।
এ দিন মমতা বলেন,'১ তারিখে বৈঠক ডেকেছিল ইন্ডিয়া জোট। আমি ১ তারিখে যেতে পারব না। কারণ এখানে ১০টি আসনে নির্বাচন। ওই দিন আরও পঞ্জাব, বিহার ও উত্তরপ্রদেশের মতো আরও অনেক জায়গায় নির্বাচন। নির্বাচন ৬টা পর্যন্ত চলে। কিন্তু লাইনে দাঁড়ালে শেষ হতে হতে ১০টা বেজে যায়'।
নির্বাচনের সঙ্গে যোগ হয়েছে সাইক্লোন রিমালও। উপকূল সংলগ্ন এলাকার মানুষদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিরাপদ আশ্রয়ে। খাবারের ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। ত্রাণকার্যের মাঝে তাঁর পক্ষে দিল্লি যাওয়া সম্ভব নয় বলে জানান মমতা। বলেন,'একটা দিকে সাইক্লোন, আর একদিকে নির্বাচন- কীভাবে ছেড়ে যাব? আমাকে সব কিছুই সামলাতে হবে। এখন অগ্রাধিকার ত্রাণ। সাধারণ মানুষকে ত্রাণ দেওয়া, ঘর তৈরি করে দেওয়ার কাজ করতে হবে। এখানে থাকলেও আমার মন পড়ে ওদের সঙ্গে'।
বলে রাখি, সপ্তম তথা শেষ দফার ভোটগ্রহণ ১ জুন। ওই দিন ইন্ডি জোটের নেতারা বৈঠকে বসবেন। এই বৈঠকে শরিক দলগুলির প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা নেতানেত্রীদের ডাকা হয়েছে। তেজস্বী যাদব এবং এমকে স্টালিনের মতো নেতারা শামিল রয়েছেন। ওই বৈঠকে সম্ভাব্য ফল ও নির্বাচন পরবর্তী রণকৌশল নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। উল্লেখ্য, শনিবার দিল্লিতেও ভোটগ্রহণ। ৪টি আসনে লড়াই করছে আম আদমি পার্টি। আর বাকি ৩টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস।
এ রাজ্যে 'ইন্ডিয়া' জোট হয়নি। বাম ও কংগ্রেস সমঝোতা করে লড়াই করছে। আর একাই লড়ছে তৃণমূল। এ নিয়ে মমতা নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন, রাজ্যের সিপিএম ও কংগ্রেস নেতারা বিজেপি সঙ্গে যোগসাজশ করেছে। তবে দিল্লিতে তিনি ইন্ডি জোটে আছেন। ভোটপ্রচারের মাঝে আবার মমতার একটি মন্তব্য নিয়ে জলঘোলা হয়।
তৃণমূল নেত্রী বলেছিলেন,'ইন্ডিয়াকে নেতৃত্ব দিয়ে বাইরে থেকে সব রকম সাহায্য করে আমরা সরকার গঠন করে দেব। যাতে বাংলায় আমার মা-বোনেদের ১০০ দিনের কাজে কোনও দিন অসুবিধা না-হয়।'
তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মমতা ব্যাখ্যা করেছিলেন,'সর্বভারতীয় স্তরে আমরা বিরোধী জোট ইন্ডিয়া তৈরি করেছিলাম। আমরা জোটে থাকব। অনেকে আমায় ভুল বুঝেছে। আমি ওই জোটে আছি। আমিই ওই জোট তৈরি করেছি। আমি জোটে থাকবও। এখানকার সিপিএম নেই আর কংগ্রেস নেই। কিন্তু সর্বভারতীয় স্তরে আমরা জোটে থাকব। ভুল বোঝাবুঝির কোনও জায়গা নেই। ভুল খবর ছড়িয়েছে। এতে বিভ্রান্তি হচ্ছে'।