বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে ইউসুফ পাঠানকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে প্রার্থী পছন্দ নয় বিধায়ক হুমায়ুন কবিরের। রাখঢাক না করেই সাফ জানিয়েছেন সেকথা। তিনি নিজেই প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন তাও খোলসা করেছেন বহরমপুরের বিধায়ক। এবার বোমা ফাটালেন তিনি। প্রয়োজনে নিজেই নির্দল হিসেবে দাঁড়াতে পারেন সেকথা আগেই জানিয়েছিলেন, আরও এক ধাপ এগিয়ে তাঁর দাবি, বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সব বিধানসভাতে তিনি সার্ভে শুরু করেছেন নিজের উদ্যোগে। সেই সন সার্ভের ফলাফল হাতে পেলেই তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন ভোটে দাঁড়াবেন কিনা।
শনিবার বহরমপুরে বিধায়ক হুমায়ুন কবিরের সঙ্গে একটি বেসরকারি হোটেলে একান্তে বৈঠকও করেন ফিরহাদ। সেই বৈঠকেও বরফ গলেনি বলে খবর। সূত্রের খবর, হুমায়ুন সাফ জানিয়েছেন তিনি বহিরাগত প্রার্থীকে মানবেন না। প্রয়োজনে দলের বিরুদ্ধে প্রার্থী হিসেবে নিজেই দাঁড়াবেন।
এদিতে আজ, রবিবার bangla.aajtak.in-কে হুমায়ুন বলেন, 'সেই ২০১৪ সালেও আমাকে বলা হয়েছিল লোকসভায় প্রার্থী করা হবে। মাত্র কয়েক মাস বিধায়ক থাকার পর আমি তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলাম। লোকসভায় প্রার্থী করা হবে বলেছিলেন মুকুল রায়। আমি মুকুল রায়ের অনুরোধে তখন তৃণমূলে যোগ দিই। অথচ ঘটনাচক্রে দেখা যায়, ইন্দ্রনীল সেনকে প্রার্থী করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। ফলাফল কী হয়েছিল? সেবার ৩ লাখ ৫৬ হাজার ভোটে হারতে হয় ইন্দ্রনীলকে। এবারও তেমন কিছু হতে চলেছে।'
হুমায়ুনের স্পষ্ট ইঙ্গিত, তৃণমূলের ভুল প্রার্থী নির্বাচন করেছে। তার মাশুল গুণতে হবে দলকেই। হুমায়ুনের কথায়, 'এখন তো লোকসভা ভোট। বিধানসভা আছে এরপর। এখন তো বিধায়করা যদি বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন তাহলে তার ফলাফল দেখা যাবে বিধানসভা ভোটে। ইউসুফকে প্রার্থী করার জন্য অনেক বিধায়কের মুখ ভার। তাঁরা চাননি, এমন কাউকে প্রার্থী করা হোক। তবে দল তা মানেনি।'
ইউসুফের হয়ে কি প্রচারে নামবেন? হুমায়ুন বলেন,'আমাদের দলের প্রার্থী তো এখন শ্রীলঙ্কায় ক্রিকেট খেলছে। যার ভোট করব সেই তো এখন ময়দানে নেই। তাঁকে নিয়ে ভেবে কী করব? ব্যাপারটা এমন হয়ে গেছে যে, জামাইয়ের দেখা নাই আর বরযাত্রীরা হই হুল্লোড় করছে। এটা কোনওদিন হয়?'
হুমায়ুন তৃণমূল নেতৃত্বকে আক্রমণ করে বলেন,'এবারের লোকসভা ভোটে যদি অধীর জিতে যান, তাহলে জেলায় তৃণমূলের কী অবস্থা হবে তা নিয়ে কি কোনও ধারণা আছে রাজ্য নেতৃত্বের? অধীর জিতে গেলে আগামী বিধানসভাতেও সব ভোট শিফট করে যাবে কংগ্রেসে। আমি সেটা জানি। সেজন্যই আমার বিরোধিতা। জেলার মাটি কেন ছাড়ব? কোনওদিন কোনও পদের আশায় দল করিনি। আজও করি না। তাই কী হবে পরোয়া করি না।'