কৃষ্ণনগরের রানিমা অমৃতা রায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে গিয়ে ইডির বাজেয়াপ্ত করা ৩ হাজার কোটি টাকা ফেরত দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যার পর শাসক দল তৃণমূল কটাক্ষ করেছিল, দেশের ১৪০ কোটি মানুষকে সেই টাকা দিতে গেলে মাথাপিছু সকলে পাবেন মাত্র ২১টাকা। রবিবার ধূপগুড়ির সভায় মোদী স্পষ্ট করে দিলেন, ইডির বাজেয়াপ্ত করা টাকা কারা কারা পাবেন?
এ দিন মোদী বলেন,'সন্দেশখালিতে কী হয়েছে সেটা পুরো দেশ জানে। মা-বোনেদের সঙ্গে ভয়ঙ্কর অত্যাচার হয়েছে। এটা গোটা দেশ দেখেছে। অবস্থা এমন যে এখানে সব ঘটনায় আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। চারদিকে তৃণমূলের সিন্ডিকেট চলছে। অত্যাচার সহ্য করছেন মানুষ। সন্দেশখালির অপরাধীদের কি কড়া সাজা দেওয়া উচিৎ? তাদের বাকি জীবন কি জেলে কাটানো উচিৎ? রেশন দুর্নীতির অভিযুক্তদের কি সাজা দেওয়া উচিৎ? আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি, যারা দুর্নীতি করেছে তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করব'।
তার পরই মোদী যোগ করেন,'৩ হাজার কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। দোষীদের সম্পত্তি যুক্ত করে রেখেছে। আমি পরামর্শ নিচ্ছি, যাঁরা চাকরির জন্য টাকা দিয়েছেন, যে সব গরিব মানুষ টাকা দিয়েছেন, তাঁদের টাকা কীভাবে ফেরত দেব? ৩ হাজার কোটি টাকা গরিবদের দেব। শিক্ষকের চাকরির জন্য যাঁরা টাকা দিয়েছেন, তাঁদের ফেরত দেব'।
রাজ্যে বিরোধীদের একহাত নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য,'তৃণমূল, বাম ও কংগ্রেস একই। আমি বলছি, দুর্নীতি সরাও। ওরা বলে, দুর্নীতিগ্রস্তদের বাঁচাও। যতই ষড়যন্ত্র করুন ৪ জুনের পর দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত আরও জোরদার হবে'।
অমৃতা রায়কে মোদী 'প্রতিশ্রুতি' দেওয়ার পর তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন,'বাংলায় ফোন করে প্রধানন্ত্রী বলছেন ৩ হাজার কোটি টাকা ফেরত দেবেন। ১৪০ কোটি জনসংখ্যা দেশের। এক একটা মানুষ কত টাকা পাবেন জানেন? ২১ টাকা দিয়ে ৫ বছরের জন্য ভোট চাইছেন? বাংলার মানুষের টাকা আটকে রেখেছে। এরা ১ হাজার টাকার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে ভিক্ষা বলছে। এখন ২১ টাকা দিয়ে ভোট চাইছে'। বিজেপির অবশ্য তখনই জানিয়েছিল,'সকলের কথা বলেননি প্রধানমন্ত্রী। বাংলার গরিব মানুষকে কীভাবে সেই টাকা ফেরত দেওয়া যায়, সেনিয়ে আইনজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলেছেন'