ভূপতিনগরের কথা উল্লেখ করেননি। তবে ওই প্রসঙ্গে ধূপগুড়ির সভা থেকে তৃণমূলকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন,'কেন্দ্রের তদন্তকারী সংস্থা এলে তৃণমূল তাদের উপর হামলা করে। অন্যদের দিয়ে করায়। আইন আর সংবিধানকে ধ্বংস করে দেওয়া একটা দল'।
এ দিন সন্দেশখালির কথাও তোলেন মোদী। দোষীদের শাস্তি সুনিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য,'সন্দেশখালিতে কী হয়েছে সেটা পুরো দেশ জানে। মা-বোনেদের সঙ্গে ভয়ঙ্কর অত্যাচার হয়েছে। এটা গোটা দেশ দেখেছে। অবস্থা এমন যে এখানে সব ঘটনায় আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। চারদিকে তৃণমূলের সিন্ডিকেট চলছে। অত্যাচার সহ্য করছেন মানুষ। সন্দেশখালির অপরাধীদের কি কড়া সাজা দেওয়া উচিৎ? তাদের বাকি জীবন কি জেলে কাটানো উচিৎ? রেশন দুর্নীতির অভিযুক্তদের কি সাজা দেওয়া উচিৎ? আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি, যারা দুর্নীতি করেছে তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করব'।
এ দিন কাশ্মীরকে ভারতে রাখতে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের কথাও তুলেছেন। বাঙালির আবেগে শান দিয়েছেন। মোদী বলেন,'ডক্টর মুখোপাধ্যায় না থাকলে কংগ্রেস কবে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কাছে আত্মসমর্পণ করে দিত! ৩৭০ অনুচ্ছেদের মতো জখম দিয়েছিল ওরা। ৩৭০ হঠানোর পর কংগ্রেসের ব্যথা হচ্ছে। চেঁচাচ্ছে, চোখের জল ফেলছেন। ওদের সভাপতি বলছেন, দেশের অন্য রাজ্যে কেন কাশ্মীরের কথা বলেন মোদী? অন্য রাজ্যে কাশ্মীরের সঙ্গে কি যোগ? কাশ্মীরের কোনও গুরুত্ব ওদের কাছে নেই'।
মোদী যোগ করেন,'১৪০ কোটি দেশবাসীর জন্য কাশ্মীর মা ভারতীর মাথা। এই কাশ্মীরের জন্য বীর জওয়ানরা শহিদ হয়েছেন। শ্যামাপ্রাস মুখোপাধ্যায় বাংলায় জন্মেছিলেন, বাঙালি ছিলেন। কাশ্মীরের ভূমিতে গিয়ে নিজের জীবন দিয়েছেন। কাশ্মীরের জন্য প্রাণত্যাগ করেছিলেন উনি। এই কাশ্মীরে শান্তি স্থাপনের জন্য কত মা নিজেদের ছেলেকে হারিয়েছে। কংগ্রেস বলছে, কাশ্মীরের সঙ্গে বাকি দেশের কি যোগ? কংগ্রেসের এই বক্তব্য থেকে স্পষ্ট, ওরা বিভাজনকারী'।