scorecardresearch
 

Modi In Bengal: 'বাংলায় হিন্দুদের সঙ্গে এটা কী হচ্ছে?' বর্ধমানে মোদীর নিশানায় 'ভোট জিহাদ'

শুধু তৃণমূলকেই নয়, ইন্ডি জোটের বাকি দুই শরিক কংগ্রেস এবং বামেদেরও নিশানা করলেন মোদী। বললেন,'দেশের উন্নয়ন এদের দ্বারা হবে না। ভোটের জন্য সমাজ আর দেশকে ভাগ করাই এদের কাজ'। প্রশ্ন তুললেন, বাংলায় হিন্দুদের নিরাপত্তা কি আদৌ আছে? 

Advertisement
নরেন্দ্র মোদী নরেন্দ্র মোদী
হাইলাইটস
  • বর্ধমানের সভায় ঝাঁঝালো ভাষণ মোদীর।
  • কংগ্রেস, তৃণমূল ও বামেদের নিশানা।

বাংলায় এসে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে ঝাঁঝালো ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুধু তৃণমূলকেই নয়, ইন্ডি জোটের বাকি দুই শরিক কংগ্রেস এবং বামেদেরও নিশানা করলেন। মোদী বললেন,'দেশের উন্নয়ন এদের দ্বারা হবে না। ভোটের জন্য সমাজ আর দেশকে ভাগ করাই এদের কাজ'। প্রশ্ন তুললেন, বাংলায় হিন্দুদের নিরাপত্তা কি আদৌ আছে? 

অতিসম্প্রতি তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের ভাষণ ভাইরাল হয়েছে নেট মাধ্যমে। তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে,'২ ঘণ্টার মধ্যে যদি তোমাদের ভাগীরথিতে না ফেলতে পারি রাজনীতি থেকে সরে যাব। শক্তিপুর এলাকায় বসবাস করা বন্ধ করে দেব। তোমরা হাতির পাঁচ পা দেখেছো? কিন্তু যদি ভেবে থাকো, ৩০ শতাংশ লোক মুর্শিদাবাদ জেলায় আমরা ৭০ শতাংশ'। সেই প্রসঙ্গ তুলে মোদী বলেন,'আমি টিভিতে দেখলাম, তৃণমূলের বিধায়ক প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছেন, ২ ঘণ্টায় হিন্দুদের ভাগীরথিতে ভাসিয়ে দেবে। হিন্দুদের ভাসিয়ে দেবে! বাংলায় হিন্দুদের সঙ্গে এটা কী হচ্ছে! মনে হচ্ছে বাংলায় হিন্দুদের তৃণমূল সরকার দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক করে রেখেছে। জয় শ্রী রাম বললে এদের আপত্তি। জয় শ্রী রাম বললে এদের জ্বর চলে আসে। এদের রাম মন্দির নির্মাণ নিয়েও আপত্তি। রাম নবমীর শোভাযাত্রা নিয়েও সমস্যা'!

আরও একবার সন্দেশখালির প্রসঙ্গ এসেছে মোদীর ভাষণে। এই প্রথম শেখ শাহজাহানের নামও করলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন,'তৃণমূল সরকারকে বলতে চাই, সন্দেশখালিতে আমাদের দলিত বোনেদের সঙ্গে এত বড় অপরাধ হল, পুরো দেশ তদন্তের দাবি করেছে, এটা কি শুধু এ জন্যই যে দোষীর নাম শাহজাহান শেখ! তোষণের রাজনীতি করে তৃণমূল। ভোটব্যাঙ্ক কি মনুষ্যত্বের চেয়েও বড়'!

আরও পড়ুন

মোদী আরও বলেন,'এবার নতুন একটা কথা নিয়ে এসেছে। দ্বিতীয় দফায় ভোট হাল দেখে পরিবারের মুখপাত্র বলছেন, মোদীর বিরুদ্ধে ভোট জিহাদ করো। জিহাদ কী, সেটা আমাদের দেশের লোকেরা ভালো করেই জানেন। কয়েক দশক ধরে ভোট জিহাদের খেলা পর্দার পিছনে চলত। প্রথমবার প্রকাশ্যে ভোট জিহাদের ঘোষণা করছেন। শাহি পরিবার এখন নীরব। এখানে তৃণমূল পরিবার, বাম পরিবারও সবাই নীরব। ইন্ডি জোটের সবাই ভোট জিহাদের পক্ষে। যারা ভোট জিহাদ করতে চাইছেন, তাদের উত্তর দেবেন? আমরা দেশের জন্য ভোট দেব। আমরা বিকশিত ভারতের জন্য ভোট দেব'।

Advertisement

তিনি যোগ করেন,'কংগ্রেস, তৃণমূল আর বামেরা ভোটব্যাঙ্কের হিতের জন্য সব কিছু করতে পারেন। কংগ্রেসের নেতা ঘোষণা করছেন, আপনার বাড়ি, ঘর, জমি, বোনেদের গয়নার এক্স রে করবেন। আপনার লকারের এক্স রে হবে। আপনার দোকানের এক্স রে করবেন। আপনাদের আয়ের একটা অংশ বাজেয়াপ্ত করবে। তার পর জিহাদ ভোটব্যাঙ্ককে দিয়ে দেবে। আপনি কি সম্পত্তি লুঠতে দেবেন? গয়না লুঠতে দেবেন? তৃণমূল আর বামেরা কি কংগ্রেসের এই বিপজ্জনক খেলার বিরোধিতা করেছে তৃণমূল আর বামেরা?'

সংবিধান বদলে ধর্মের ভিত্তিতে বিরোধীরা সংরক্ষণ দিতে চাইছে বলেও অভিযোগ মোদীর। তাঁর কথায়,'পর্দার পিছনে একটাই অ্যাজেন্ডা, সংবিধানের মূল ভাবনা, ভারতে ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ দেওয়া হবে না। সংবিধান সভা চিন্তাভাবনা করে করেছিল। বাবা সাহেব আম্বেদকর ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ করেননি। জিহাদি ভোট যেখান থেকে পাবে, তাদের দেওয়ার জন্য সংবিধান বদলাতে চায় এরা। কংগ্রেস এত মরিয়া হয়ে উঠেছে কেন? কংগ্রেসের পরিষ্কার হিসাব, দলিত, আদিবাসী ও ওবিসি-দের শাস্তি দিতে চায়। মোদীকে ভোট দেয় দলিত, আদিবাসী আর ওবিসি। সে কারণে ৫০ বছর যারা কংগ্রেসের সঙ্গে ছিল, তারা বেরিয়ে গিয়েছে। মোদীর সঙ্গে চলে গিয়েছে তারা। এবার তারা মনে করছে, আদিবাসী, দলিত আর ওবিসিদের শাস্তি দিক। সংরক্ষণ কেড়ে মুসলিমদের খুশি রাখতে চায় কংগ্রেস। কর্নাটকে এই পাপ তারা করেছে । এত বড় পাপের পরও তারা চুপ আছে'।

Advertisement