স্বাধীনতার আগে মুসলিম লিগের যে চিন্তাভাবনা ছিল, সেটাই ফুটে উঠেছে কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তাহারে। শনিবার এভাবেই রাহুল গান্ধীর দলকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর দাবি, কংগ্রেসের ইস্তাহারের প্রতিটি পাতায় আছে একগুচ্ছ মিথ্যার প্রতিশ্রুতি। ভারতকে টুকরো করার ভাবনা প্রতিফলিত হয়েছে। কংগ্রেস পাল্টা জানিয়েছে, ইতিহাস সম্পর্কে কোনও জ্ঞান নেই প্রধানমন্ত্রীর।
রাজস্থানের আজমেঢ়ের সভায় যখন বক্তব্য রাখছিলেন মোদী, তখন জয়পুরে জনসমক্ষে সামনে ইস্তাহার প্রকাশ করে কংগ্রেস। এ দিন মোদী বলেন,'একগুচ্ছ মিথ্যা ইস্তাহার আকারে প্রকাশ করেছে কংগ্রেস। তাদের মুখোশ খুলে গিয়েছে। ইস্তাহারের ছত্র ছত্রে ভারতকে টুকরো করার চেষ্টা করা হয়েছে। স্বাধীনতার আগে মুসলিম লিগের ভাবনাই প্রতিফলিত হয়েছে কংগ্রেসের ইস্তাহারে। ওই সময়ের মুসলিম লিগের ভাবনাচিন্তা এখন বাস্তবায়িত করতে চায় কংগ্রেস। আর ইস্তাহারের বাকি অংশে রয়েছে বামপন্থীদের চিন্তাভাবনা।
মোদী আরও বলেন,'আপনারা কংগ্রেসের ইস্তাহার দেখলে বুঝতে পারবেন, দেশকে ১০০ বছর পিছিয়ে দেবে। নারীশক্তিকে কোনওদিন গুরুত্ব দেয়নি কংগ্রেস। স্বাধীনতার পর থেকে মহিলারা কষ্ট করেছেন। কংগ্রেসকে কি শাস্তি দেওয়া উচিত নয়?'
শৌচালয় নির্মাণ, বিনামূল্যে গ্যাস দেওয়ার মতো প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়,'আমাদের সাহসী মেয়েরা সেনায় যোগ দিতে পারেন। তাঁদের জন্য সৈনিক স্কুলের দরজা খুলে দিয়েছি। মহিলাদের ৬ মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটি ঘোষণা করেছি। সংসদে মহিলাদের সংরক্ষণের ব্যবস্থাও হয়েছে। গ্রামের মহিলারা সাইকেল চালাতে পারতেন না, তাঁরা এখন ড্রোন চালান। ইসরোর প্রকল্পও সামলাচ্ছেন মহিলারা। আপনারা ভাবতে পারেন, অনেক করেছি। বিশ্বাস করুন, এটা ট্রেলার। আরও কাজ হবে। আপনাদের স্বপ্নপূরণের জন্য আমি দায়বদ্ধ। ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করব'।
মোদীকে পাল্টা দিয়েছে কংগ্রেস। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ জানান,'নিজেদের ইতিহাসটাই জানেন না প্রধানমন্ত্রী। বাংলায় মুসলিম লিগের জোট সরকারের অংশ ছিলেন সেই সময় হিন্দু মহাসভার সভাপতি শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। বিজেপিই বিভাজনের রাজনীতি করে।