লোকসভা নির্বাচন শেষ পর্যায়ে। আগামী ১ জুন চূড়ান্ত ও শেষ পর্বের ভোটগ্রহণ হবে। এদিকে জানা যাচ্ছে, কন্যাকুমারীতে ধ্যানে মগ্ন হবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সূত্রের খবর, যে সময়ে দেশে লোকসভা নির্বাচনের শেষ পর্বের ভোটগ্রহণ চলবে, সেই সময়েই ধ্যানে মগ্ন থাকবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। দিল্লির রাজনীতি থেকে দূরে কন্যাকুমারীতে ধ্যানের প্রস্তুতি নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। শেষ দফা ভোটের প্রচার পর্ব শেষ হলেই প্রধানমন্ত্রী কন্যাকুমারী চলে যাবে। কে জিতবে, কে হারবে, কার সরকার গঠিত হবে, এই সমস্ত প্রশ্ন থেকে দূরে থেকে তিনি বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়ালে ধ্যান করবেন। বলা হচ্ছে যে বিবেকানন্দ যে পাথরের উপরে বসে ধ্যান করছিলেন, সেই পাথরে বসেই ধ্যান করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
আসুন জেনে নিই এর সম্পর্কে কিছু অজানা বিষয়
বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়াল হল ভারতের দক্ষিণতম প্রান্তে কন্যাকুমারীতে অবস্থিত একটি স্মৃতিস্তম্ভ, যা সমুদ্র উপকূল থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে অবস্থিত দুটি পাথরের একটিতে অবস্থিত। মনে শান্তি এনে দেওয়া বাতাস এবং সমুদ্রের ঢেউয়ের মধ্যে এই শিলাটি খুব সুন্দর এবং রহস্যময়। এটি ভারতের মহান সাধক স্বামী বিবেকানন্দের প্রতি শ্রদ্ধা, যিনি ভারতের আধ্যাত্মিক প্রতিভাকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছিলেন। এই শিলাটি ছিল বিবেকানন্দের জন্য 'সারনাথ'। এটা বিশ্বাস করা হয় যে স্বামী বিবেকানন্দের জীবনে, গৌতম বুদ্ধের জন্য সারনাথের মতোই সমুদ্র থেকে উঠে আসা এই শিলাটির গুরুত্ব ছিল।
উন্নত ভারতের স্বপ্ন দেখা হয়েছিল এখানেই
রক মেমোরিয়ালে ধ্যান করার সময় স্বামী বিবেকানন্দ একটি উন্নত ভারতের স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং এখানেই বিবেকানন্দ 'মাদার ইন্ডিয়া' কল্পনা করেছিলেন। কন্যাকুমারীতে সমুদ্রের গভীর থেকে উঠে আসা এই শিলাটির গুরুত্ব শুধু ঐতিহাসিকই নয়, পৌরাণিকও বটে। বিশ্বাস অনুসারে, দেবী পার্বতীও এই স্থানে এক পায়ে দাঁড়িয়ে ভগবান শিবের পুজো করেছিলেন। দেবী পার্বতী এখানে শিবের জন্য অপেক্ষা করেছিলেন। এখানে ভারত মহাসাগর, বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগর মিলিত হয়েছে। ভারতের এই দক্ষিণ প্রান্তের আরেকটি গুরুত্ব হল এখানে ভারতের পূর্ব এবং পশ্চিম উপকূলও মিলিত হয়েছে। এটি ভারত মহাসাগর, বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরের মিলনস্থল। এই স্থানটি এখন পর্যটনের কেন্দ্রও হয়ে উঠেছে। সারা বছরই প্রচুর পরিমাণে পর্যটক বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়াল পরিদর্শন করেন।