Rahul Gandhi Assets: শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের রায়বেরেলি লোকসভা আসন থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হলফনামায়, রাহুল গান্ধী তাঁর ২০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির উল্লেখ করেছেন। এর মধ্যে ৪.২ লাখ টাকার সোনাও রয়েছে। তিনি আরও জানান, কোটি টাকার মালিক হওয়া সত্ত্বেও তাঁর নিজের নামে কোনও গাড়ি নেই, এমনকি বাড়িও নেই।
নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাহুল গান্ধী প্রায় ৯ কোটি ২৪ লাখ টাকার অস্থাবর সম্পত্তি আছে বলে জানিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে প্রায় ৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকার শেয়ার, ৩ কোটি ৮১ লাখ টাকার মিউচুয়াল ফান্ড, ২৬ লাখ টাকার ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স এবং ১৫ লাখ ২১ হাজার টাকার গোল্ড বন্ড।
এ ছাড়া কংগ্রেস নেতা আরও জানিয়েছেন, তাঁর ১১ কোটি ১৫ লাখ টাকার স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে। এর মধ্যে তিনি নিজে কিনেছেন ৯ কোটি ৪ লাখ ৮৯ হাজার টাকার সম্পত্তি। উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ টাকার সম্পত্তিও রয়েছে।
রাহুল গান্ধীর নিজের বাড়ি নেই
৫৫ হাজার টাকা নগদ রয়েছে রাহুলের। তাঁর কাছে ৩৩৩.৩ গ্রাম সোনা এবং ৪.২ কোটি টাকার গয়না রয়েছে। তিনি দাবি করেন, তাঁর কোনও গাড়ি বা অন্য ধরনের যানবাহন নেই। নিজের নামে কোনও বাড়িও নেই। তবে তাঁর ঋণ (দায়) রয়েছে ৪৯ লাখ ৭৯ হাজার টাকার।
স্থাবর সম্পত্তি হিসাবে, দিল্লির মেহরাউলির সুলতানপুর গ্রামে তাঁর প্রায় ৩.৭৭৮ একর কৃষি জমি রয়েছে। এতে তাঁর বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরারও ভাগ রয়েছে। এছাড়া গুরুগ্রামের সিগনেচার টাওয়ারে ৫,৮৩৮ বর্গফুটের একটি অফিস স্পেস আছে। সেই অফিস স্পেসের বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৯.০৫ কোটি টাকা।
রাহুল গান্ধী বলেন, তাঁর আয়ের উত্স হল MP হিসাবে প্রাপ্ত বেতন, রয়্যালটি, ভাড়া, বন্ডের সুদ এবং মিউচুয়াল ফান্ড থেকে লাভ। তিনি ২০২২-২৩ এবং ২০২১-২২ অর্থবর্ষে তাঁর মোট আয়ের খতিয়ানও প্রকাশ করেছেন।
২০২২-২৩ সালে তাঁর মোট আয় ছিল ১ কোটি ২ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। ২০২১-২২ সালে তাঁর আয় ছিল ১ কোটি ৩১ লাখ 4 হাজার টাকা।
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.ফিল করেছেন(Rahul Gandhi Education)
মনোনয়নপত্র অনুসারে, রাহুল গান্ধী কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রিনিটি কলেজ থেকে এমফিল করেছেন। এ ছাড়া তিনি ফ্লোরিডা রলিন্স কলেজ থেকে আর্টসে স্নাতক।
রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে মোট ১৮টি মামলা রয়েছে। কংগ্রেস নেতা হলফনামায় তাঁর বিরুদ্ধে অন্য কোনও ফৌজদারি মামলার উল্লেখ করেননি।
তিনি বলেছেন, মোদী সম্প্রদায়ে'র বিরুদ্ধে অসম্মানজনক মন্তব্যের মিথ্যা অভিযোগ ছিল তাঁর উপর। আইপিসির 499 এবং 500 ধারার অধীনে মামলায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত ২০২৩ সালের মার্চে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে। তাঁকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। গত ৪ আগস্ট সেই শাস্তি স্থগিত করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। এই বিষয়ে, তিনি গুজরাটের সুরাটের জেলা জজের আদালতে একটি আপিল দায়ের করেছেন এবং বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন।