'রাহুল গান্ধীর কিছুদিনের জন্য বিরতি নেওয়া উচিত,' মত রাজনৈতিক বিশ্লেষক প্রশান্ত কিশোরের। আর তাই নিয়েই এবার মুখ খুলল কংগ্রেস।
লোকসভা নির্বাচন আসন্ন। সব রাজনৈতিক দলই প্রচারে জোর দিচ্ছে। আর এমন সময়েই কিছু 'অনুমান' করেন রাজনৈতিক পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোর। আর তাতেই রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেস সম্পর্কে কিছু পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, 'আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস যদি কাঙ্খিত ফলাফল না পায়, সেক্ষেত্রে রাহুল গান্ধীর কিছু সময়ের জন্য বিরতি নেওয়া উচিত।'
কংগ্রেস নেতৃত্ব এটা শুনে কী বলছে? প্রশান্ত কিশোরের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাতে অস্বীকার করেছেন তাঁরা। দলের মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনেট বলেন, 'আমি পরামর্শদাতাদের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাই না। নেতাদের কথা বলুন। পরামর্শদাতাদের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে কী লাভ?'
কী বলেছিলেন প্রশান্ত কিশোর?
প্রশান্ত কিশোর বলেন, 'রাহুল গান্ধী মনে করেন তিনি সবকিছু জানেন। যদি কেউ ধরেই নেন যে তাঁর কোনওরকম সাহায্যের দরকার নেই, তাহলে কেউ তাকে সাহায্য করতে পারবে না।'
প্রশান্ত কিশোর বলেন, 'রাহুল গান্ধী গত ১০ বছর ধরে একই কাজ করে চলেছেন। এখনও সফল হতে পারেননি। এমতাবস্থায়, এরপর যেন তিনি অন্য কাউকে সেই কাজ করার সুযোগ করে দেন।' তিনি বলেন, 'কেউ যখন গত ১০ বছর ধরে একই কাজ করছেন এবং তাতে কোনও সাফল্য পাচ্ছেন না, তখন তাঁর বিরতি নেওয়াতে কোনও ক্ষতি নেই। আপনার উচিত পাঁচ বছরের জন্য অন্য কাউকে সেই দায়িত্ব দেওয়া। তোমার মা-ও তাই করেছে।'
প্রশান্ত কিশোর এক্ষেত্রে সোনিয়া গান্ধীর উদাহরণ দিয়েছেন। ১৯৯১ সালে স্বামী রাজীব গান্ধীর মৃত্যুর পর রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে এবং নতুন করে শুরু করতে তিনি পিভি নরসিমা রাওয়ের হাতে দায়িত্ব তুলে দেন। প্রশান্ত বলেন, 'বিশ্বের সেরা নেতাদের একটি কমন গুণ হল, তাঁরা জানেন যে তাঁদের কোন বিষয়টার অভাব রয়েছে। সেই ত্রুটিগুলি কাটাতে তাঁরা সক্রিয়ভাবে চেষ্টা করেন।'
'লোকসভা নির্বাচনে ৩০০টির বেশি আসন জিততে পারে বিজেপি'
প্রশান্ত কিশোর বলেন বিজেপি আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ৩০০টিরও বেশি আসন জিততে পারে। পিটিআই-কে দেওয়া একটি সাক্ষাত্কারে, প্রশান্ত কিশোর বলেন 'বিরোধীদের কাছে বিজেপির উত্থান থামানোর তিন-তিনটি সুযোগ এসেছিল। কিন্তু আলস্য এবং ভুল কৌশলের কারণে তারা সেই সুযোগগুলি হাতছাড়া করেছে।'
'বিজেপি বাংলার এক নম্বর দল হতে চলেছে'
প্রশান্ত কিশোর বলেন, 'বিজেপি তেলেঙ্গানায় এক নম্বর বা দুই নম্বর দল হতে চলেছে, এটি একটি বড় বিষয়। ওড়িশায় তারা অবশ্যই এক নম্বর দল হবে। হয় তো অবাক হবেন, কিন্তু আমার মনে হচ্ছে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গেও এক নম্বর দল হতে চলেছে।'