লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল বাংলায় ক'টা আসনে জিতবে, এই নিয়ে আগেই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। পঞ্চম দফার ভোটের আগে এবার রাজ্যে বামেরা কেমন ভোট পাবে, তা নিয়েও ভবিষ্যদ্বাণী করলেন কুণাল। তৃণমূল নেতার এমন দাবি ঘিরে জোর আলোচনা রাজ্য রাজনীতিতে।
ঠিক কী বলেছেন কুণাল?
এক্স হ্যান্ডলে কুণাল লিখেছেন, 'বাংলায় তৃণমূল ৩০-৩৫টি আসন পাবে।' তারপরেই তিনি লিখেছেন, 'এবার সিপিএমের কিছু ভোট বাড়বে। আগে বামেদের যে ভোট বিজেপিতে যাচ্ছিল, সেটা খানিকটা ফিরবে। দমদম, যাদবপুর, শ্রীরামপুর-সহ কিছু আসনে বামেরা দ্বিতীয় হবে। বিজেপি কিছু আসনে তৃতীয়। সামগ্রিকভাবে এর ফলে তৃণমূলের জয়ের ব্যবধান ও আসন সংখ্যা, দুটোই বাড়বে।'
প্রসঙ্গত, যে তিন আসনে বামেদের ভোট বৃদ্ধির কথা বলেছেন কুণাল, তা উল্লেখযোগ্য। দমদমে এবার তৃণমূলের সৌগতের বিপরীতে বামেদের মুখ সুজন চক্রবর্তী। হাইভোল্টেজ কেন্দ্র যাদবপুরে তৃণমূলের সায়নী ঘোষের বিপরীতে রয়েছেন বামেদের সৃজন। অন্য দিকে, শ্রীরামপুরে তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বামেদের প্রার্থী দীপ্সিতা ধর।
লোকসভা ভোটে কে ক'টা আসন পাবে, তা নিয়ে নানা মুনির নানা মত। বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতারা নিজেদের মতো নানা দাবি করেছেন। এবার লোকসভা ভোটে এনডিএ জোট ৪০০ আসনে জেতার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। ৪০০ পার করবে পদ্মশিবির, একথা ইতিমধ্যেই বলেছেন মোদী-শাহরা। এই নিয়ে বনগাঁর সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, 'দুশোও পার হবে না, ৪০০ হবে কী করে!' এরপরেই মমতার ভবিষ্যদ্বাণী, 'মোদী আসছে না। ১৯০-১৯৫টি আসন পাবে বিজেপি। এখনও পর্যন্ত যা হিসেব করা হয়েছে, তাতে ইন্ডিয়া জোট ৩১৫টি আসন পাবে।'
অন্য দিকে, বাংলায় এবার ৩০-৩৫টি আসন জয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে পদ্মশিবির। অন্য দিকে, তৃণমূল দাবি করেছে, তারাই ৩০-৩৫টি আসন পাবে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দাবি করেছিলেন, সারা দেশে সাকুল্যে ১৫টি আসনও পাবে না তৃণমূল।