কুণাল ঘোষকে সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দিল তৃণমূল। সকালেই উত্তর কলকাতার বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়ের প্রশংসা শোনা গিয়েছিল কুণালের মুখে। তার পর বিকেলে তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দিল রাজ্যের শাসক দল। অতিসম্প্রতি দলের মুখপাত্রের পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
ডেরেক ও'ব্রায়েনের স্বাক্ষরিত তৃণমূলের বিবৃতি লেখা হয়েছে,'দলের সঙ্গে কুণাল ঘোষের সাম্প্রতিক বক্তব্যের কোনও যোগ নেই। সব মন্তব্য তাঁর ব্যক্তিগত। তা দলের বক্তব্য হিসেবে দেখা উচিত নয়। তৃণমূলের সদর দফতর থেকে দেওয়া বিবৃতিই দলের অবস্থান হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। এর আগে দলের মুখপাত্রের পদ থেকে সরানো হয়েছিল কুণাল ঘোষকে। এবার তাঁকে সংগঠনের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদ থেকেও অপসারিত করা হল'। প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার সময় পর্যন্ত দলের সিদ্ধান্ত নিয়ে কুণাল ঘোষের প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
দলের ভিন্নপথে হেঁটে একাধিকবার কুণাল ঘোষ বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। অতিসম্প্রতি মিঠুন ও দেবের সম্পর্ক নিয়েও মন্তব্য করেছেন। নিশানা করেছেন ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী দীপক অধিকারীকে। মঙ্গলবার আবার উত্তর কলকাতায় দলের প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে না গিয়ে তিনি বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়ের প্রশস্তি করেন। সূত্রের খবর, কুণালের তাপস-প্রশস্তি মোটেও ভালোভাবে নেননি তৃণমূল নেতৃত্ব। বিশেষ করে লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে তাঁর এক মঞ্চে হাজির হওয়া ভুল বার্তা দিয়েছে। এটা দলের অনুশাসন বিরোধী বলেও মনে করছেন অনেকে। সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত।
কুণাল ঠিক কী বলেছেন?
কুণাল এ দিন বলেন,'তাপসদা জানেন শেষ চেষ্টা করেছিলাম এক পরিবারের মধ্যে রাখতে। কারণ তাপসদা আমাদের প্রিয় পাত্র। তাপসদার দরজা সারাদিন, সারারাত কর্মীদের জন্য খোলা থাকে। তাপসদা যেভাবে মানুষকে পরিষেবা দিয়েছেন, তা রাজনীতিতে ফ্যাক্টর। দলের কর্মীরা সারাক্ষণ তাঁকে পায়। আমাদের প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এখানে লড়ছেন। আবার প্রার্থী হিসেবে তাপসদাকে আমি কোথাও জনপ্রতিনিধি হিসেবে এক ইঞ্চি পিছনে রাখতে পারব না। তাপসদা দরজা খুলে, মন খুলে কাজ করেন'।