রাজ্যে দীর্ঘ ৩৪ বছর ক্ষমতায় ছিল সিপিএম। ২০১১ সালে পালাবদল ঘটে। তার পর থেকে শুরু রক্তক্ষরণ, যে ক্ষতের প্রশমন হল না ২০২৪ সালেও। ২০১৯ সালে একটাও আসন পায়নি সিপিএম। ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটে তারা শূন্য পেয়েছিল। এবার ২০২৪ সালেও তারা খালি হাতেই ফিরল।
এবার লোকসভা ভোটে তরুণদের প্রার্থীদের করেছিল সিপিএম। তমলুকে সায়ন, যাদবপুরে সৃজন আর শ্রীরামপুরে দীপ্সিতাকে টিকিট দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নতুনরা কেউ সুবিধা করতে পারলেন না। বরং শেষ করলেন তৃতীয় স্থানে। মুর্শিদাবাদের সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম জিততে পারেন বলে আশা করেছিলেন সিপিএম নেতৃত্ব। কিন্তু সেই আশাপূরণ হল না। সেলিমও হারলেন। দ্বিতীয় স্থানে শেষ করলেন। আর সিপিএমের শেষ আশাটিও মুড়োল। আরও একবার রাজ্যে খালি হাতেই থাকতে হল তাঁদের।
গত লোকসভা ভোটে সিপিএমের ভোটের হার ছিল ৬.৩%। ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটে ছিল ৪.৭৩%। আর এবার ৫.৬৪ শতাংশ ভোট পেয়েছে তারা। ফলে ২০১৯ সালের তুলনায় কমল সিপিএমের ভোটের হার। খাতাও খুলতে পারল না তারা। তবে কয়েকটি জায়গায় তারা তৃণমূলের সুবিধাই করে দিয়েছে। ভোট কাটার ফলে জিতে গিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী।
কিন্তু কেন ৩৪ বছর ক্ষমতায় থাকা একটা দলের এই হাল? রাজনৈতিক মহলের মতে, সিপিএমের সংগঠন আর আগের মতো নেই। সংগঠন ছাড়া বাংলায় জেতা সম্ভব নয়। তাছাড়া সংখ্যালঘু যে ভোট সিপিএমকে ছেড়ে গিয়েছে সেই ভোট আর ফিরছে না। বরং বিজেপিকে রুখতে তৃণমূলকেই সংখ্যালঘুরা সেরা বিকল্প ভাবছে। 'বিজেমূল' বলে সিপিএম প্রচার চালালেও তা মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য ঠেকছে না। তাছাড়া কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে কতটা লাভ মিলছে সেটাও ভেবে দেখতে হবে আলিমুদ্দিনকে। সবমিলিয়ে সিপিএম নেতৃত্বকে আবার অঙ্ক কষতে হবে। ফিরে আসার জন্য তাদের অপেক্ষা আরও বাড়ল।