বাংলায় লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হল। ২০১৯ সালের মতো এবছরও বাংলায় ৭ দফায় লোকসভা নির্বাচন হবে। শনিবার ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। ভোটগ্রহণ শুরু হবে ১৯ এপ্রিল। ভোটগণনা ৪ জুন। আজ থেকেই লাগু হল আদর্শ আচরণবিধি।
কবে কোন কেন্দ্রে ভোট?
প্রথম দফা (১৯ এপ্রিল): কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি।
দ্বিতীয় দফা (২৬ এপ্রিল): রায়গঞ্জ, দার্জিলিং, বালুরঘাট।
তৃতীয় দফা (৭ মে): মালদা উত্তর, মালদা দক্ষিণ, জঙ্গিপুর, মুর্শিদাবাদ।
চতুর্থ দফা (১৩ মে): বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বীরভূম, বোলপুর, বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান-দুর্গাপুর, আসানসোল।
পঞ্চম দফা (২০ মে): শ্রীরামপুর, ব্যারাকপুর, বনগাঁ, হাওড়া, উলুবেড়িয়া, হুগলি, আরামবাগ।
ষষ্ঠ দফা (২৫ মে): ঘাটাল, তমলুক, কাঁথি, পুরুলিয়া, মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর।
সপ্তম দফা (১ জুন): কলকাতা উত্তর, কলকাতা দক্ষিণ, দমদম, বারাসত, ডায়মন্ড হারবার, মথুরাপুর, বসিরহাট, জয়নগর, যাদবপুর।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ৭ দফায় ভোটগ্রহণ করা হয়েছিল। এবার ১ দফায় ভোট করার দাবি জানিয়েছিল বাংলার শাসকদল তৃণমূল। অন্য দিকে, বাংলায় একাধিক দফায় ভোটের দাবি জানিয়েছে বিজেপি-সহ রাজ্যের অন্য বিরোধী দলগুলি। শেষ পর্যন্ত গতবারের মতো ৭ দফাতেই ভোট হচ্ছে বাংলায়। বস্তুত, এ বছর বাংলায় সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হচ্ছে। ভোট ঘোষণার আগেই রাজ্যে এসে গিয়েছে ১৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। আরও ৭৭০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসার কথা।
বাংলায় উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা
লোকসভা ভোটের পাশাপাশি বাংলার দুই বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের দিনও ঘোষণা করল কমিশন। রাজ্যের দুই বিধানসভা কেন্দ্র মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা এবং বরানগরে উপনির্বাচন হবে। লোকসভা ভোটের তৃতীয় দফায়, অর্থাৎ ৭ মে উপনির্বাচন হবে ভগবানগোলায়। ১ জুন সপ্তম দফার দিন বরানগরে উপনির্বাচন হবে। ভগবানগোলা কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন তৃণমূলের ইদ্রিশ আলি। তাঁর মৃত্যুর কারণে ওই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে। অন্য দিকে, বরানগরের বিধায়ক ছিলেন তাপস রায়। সম্প্রতি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তাপস। ফলে ওই কেন্দ্রেও উপনির্বাচন হবে।
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানিয়েছেন, 'অবাধ ও রক্তপাতহীন ভোট করাতে বদ্ধপরিকর কমিশন. নির্বাচনে সন্ত্রাসের জায়গা থাকবে না। হিংসা রুখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। ভোটের আগে এবং ভোট পরবর্তী হিংসার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।' তিনি আরও বলেছেন, 'ভোটে অশান্তি রুখতে জেলাশাসক, পুলিশ সুপারদের ব্যবস্থা নিতে হবে।' প্রতিটি জেলায় নির্বাচন কমিশনের কন্ট্রোল রুম থাকবে।