সোমবার অর্থাৎ ৩ জুন রাজ্যে ফের নির্বাচন। বারাসত ও দেগঙ্গা লোকসভার দুই বুথে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নিয়ম মেনে সকাল সাতটা থেকে সন্ধে ৬ টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ।
নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, মথুরাপুর কেন্দ্রের কাকদ্বীপের ২৬ নম্বর বুথে পুনর্নির্বাচন হবে। কাকদ্বীপের এই বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি করেছিল বিজেপি। আবার বারাসাত লোকসভার দেগঙ্গার ৬১ নম্বর বুথেও পুনর্নির্বাচন হবে। দেগঙ্গার কদম্বগাছি সর্দার পদ এফপি স্কুলের বুথে এবং কাকদ্বীপের আদ্দীর মহল শ্রীচৈতন্য বিদ্যাপীঠ এফপি স্কুল বুথে পুনরায় নির্বাচন হবে। বারাসত ও মথুরাপুর ওই দুই কেন্দ্রেই ভোট হয় ১ জুন। তবে ওই দুই উপরে উল্লেখিত জোড়া বুথে রিগিং হয়েছে বলে অভিযোগ করে বিজেপি।
বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয়, ওই দুই বুথেই ছাপ্পাভোট পড়েছে। ভুয়ো ভোটও পড়েছে। দুপুরের পর থেকে ওই দুই বুথে দেদার ভুয়ো এবং ছাপ্পাভোট শুরু হয় বলে অভিযোগ। এদিকে অভিযোগ খতিয়ে দেখার পর ওই দুই বুথে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন।
শনিবার সপ্তম দফায় ভোটগ্রহণ শেষে বিজেপির তরফে ৩০০-র বেশি বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি তোলা হয়। ফলতা, বজবজ, মহেশতলা, ডায়মন্ড হারবার, বিষ্ণুপুর-সহ বহু বুথে পুনরায় নির্বাচনের দাবি তোলা হয়।
নির্বাচন কমিশনের তরফে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পুনর্নির্বাচন নিয়ে প্রচার করতে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লাউড স্পিকারে ও ঢ্যাঁড়া পিটিয়ে স্থানীয়দের জানাতে হবে।
প্রসঙ্গত, ১ জুন রাজ্যের ৯ লোকসভা কেন্দ্রে ভোট সম্পন্ন হয়। তবে তার মধ্যে সন্দেশখালি, ডায়মন্ডহারবার, উত্তর কলকাতা, মথুরাপুরে বিক্ষিপ্ত অশান্তি হয়। কোনও কোনও জায়গাতে রিগিংয়ের অভিযোগ ওঠে।
যদিও বুথ ফেরত সমীক্ষায় দেখা যায়, রাজ্যে বেশিরভাগ আসনই পাচ্ছে বিজেপি। ভোট শতাংশেও তারা তৃণমূলকে পিছনে ফেলবে-এমন ইঙ্গিতও মেলে। যদিও বুথ ফেরত সমীক্ষাকে মানতে নারাজ তৃণমূল। তাদের দাবি, বাংলায় ৩০টির আশপাশে আসন পাবে তারা। তাদের থেকে কম আসন পাবে বিজেপি। তৃণমূল নেতা শান্তনু সেন জানান, 'পশ্চিমবঙ্গে ৩০ আসন পাবে তৃণমূল। যে সব সমীক্ষা করা হয়েছে তা আমরা মানি না। তবে আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয় ২৮ থেকে ৩০ টা আসন পেতে পারি।'