গণতন্ত্রের শ্রেষ্ঠ উৎসব বলে কথা। সেই উৎসবে অংশ নিতে বাধা মানল না করোনাও। শিলিগুড়িতে একই পরিবারের তিন;করোনা আক্রান্ত, রীতিমতো পিপিইকিট যোগাড় করে পরে অ্যাম্বুলেন্সে চেপে গেলেন ভোট দিতে। যা দেখে শুনে চমকে গিয়েছেন উপস্থিত অন্য ভোটার ও ভোট কর্মীরাও। তবে শেষমেষ অবশ্য ভোটদানে বাধা দেননি কেউই। শেষবেলায় ভোট দিতে যাওয়ায় প্রায় ফাঁকাই ছিল শিলিগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের ১৭নম্বর ওয়ার্ডের কলেজপাড়ার শিলিগুড়ি গার্লস হাইস্কুলের বুথটি। অন্যদিকে জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর প্রতিনিধি সন্দীপ মাহাতো করোনা আক্রান্ত হয়েও নিজ কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়েছেন সমস্ত সর্তকতা অবলম্বন করেই। তিনি আবার পিপিই পড়ে ভোট দিতে গেলেও নিজের বাইকেই সওয়ার হয়ে গিয়েছিলেন। সুভাষপল্লি এলাকার একই পরিবারের তিনজন কয়েকদিন আগে করোনা আক্রান্ত হন। তারপর থেকে তাঁদের চিকিৎসকের পরামর্শে হোম আইসোলেশনেই রাখা রয়েছে। এখনও পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসেনি। তাই বাড়ি থেকে বের হওয়ার প্রশ্ন নেই। তবে সেটা আর পাঁচটা দিনের জন্য। আর কয়েক দিনের মধ্যেই নতুন সরকার গঠিত হতে চলেছে। তাতে নিজেদের ভূমিকা থাকবে না, মেনে নিতে পারেননি তারা। তাই পাড়ার পরিচিত সক্রিয় সমাজকর্মীকে ফোন করে পিপিই-কিটের ব্যবস্থা করতে অনুরোধ করেন তাঁরা। তাঁরাই পিপিই কিট জোগাড় করে তাদের পাঠিয়ে দেন। সঙ্গে ব্যবস্থা করে দেন অ্যাম্বুলেন্সেরও। সেই নিয়ে তাঁরা শেষ বেলায় যখন ভিড় ফিকে হয়ে এসেছে, সেই সময় এগিয়ে নাগরিক দায়িত্ব পালন করেন। তবে আচমকা এমনকি পিপিই-কিট পড়ে অ্যাম্বুলেন্স থেকে তিনজনকে নামতে দেখে প্রথমে হতচকিত হয়ে যান ভোটকর্মীরা। সে সময় সামান্য কয়েক যে কজন ভোটার দাঁড়িয়ে ছিল তারাও সরে জায়গা করে দেন। এরপর অবশ্য ফাঁকা বুথে ধীরে ধীরে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে বেরিয়ে আসেন তিনজনই। ফের অ্যাম্বুলেন্সে উঠে বাড়ি ফিরে যাওয়া স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন সকলেই। তিনজন ভোটারের মধ্যে দুজন পুরুষ এবং একজন মহিলা ছিলেন বলে ভোট কর্মীরা জানিয়েছেন। অন্যদিকে জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রশাসকমন্ডলীর সদস্য সন্দীপ মাহাতো জানিয়েছেন, প্রত্যেকের গুরুদায়িত্ব এই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া। তাই শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও নির্বাচনে অংশ নিয়ে গেলাম। তবে সম্পূর্ণ বিধিনিষেধ মেনে এবং কোভিড নিরাপত্তা পালন করে ভোট দিয়েছি।