PM Modi on Ramakrishna Mission: ভোট বাংলায় ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ প্রধান কার্তিক মহারাজকে নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি তরজা তুঙ্গে। এরই মধ্যে জলপাইগুড়িতে সন্ন্যাসীদের হামলা নিয়ে তৃণমূলকে বিঁধলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার পঞ্চম দফা নির্বাচনের দিন ঝাড়গ্রামের সভা থেকে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ, রামকৃষ্ণ মিশনকে আক্রমণ নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী। বললেন, "জলপাইগুড়িতে রামকৃষ্ণ মিশনের সন্ন্যাসীদের উপর হামলা হয়েছে।"
তিনি আরও বলেন, "এখন তো এখানকার মুখ্যমন্ত্রী নিজেই হিন্দু সাধুসন্তদের ধমকাচ্ছেন। রামকৃষ্ণ মিশন, ইস্কন, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ আমাদের বাংলার আধ্যাত্মিক পরিচয়। মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চ থেকে এই মহান সংস্থাকে ধমকাচ্ছেন। এই ধমক তৃণমূলের গুন্ডাদের সাহস বাড়িয়ে দিয়েছে। জানা গেছে, জলপাইগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমে কাল রাতে ভাঙচুর করা হয়েছে। আশ্রমের কর্মচারীদের মারধর করা হয়েছে, ধমক দেওয়া হয়েছে। এই বাংলাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল সরকার! এসব দেশ কোনওদিন ভেবেছিল? নিজের ভোটব্যাঙ্ক বাঁচাতে তৃণমূল সীমা পেরিয়ে যাচ্ছে। আমদের সাধুসন্তের অপমান বাংলা সহ্য করবে না। পুরো দেশ জানে আমার জীবন গড়তে রামকৃষ্ণ মিশনের কত বড় যোগদান আছে, আমার কী সংযোগ আছে। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরও রামকৃষ্ণ মিশনে সন্ন্যাসীদের সঙ্গে থাকি।"
সোমবার তিনি আরও বলেন, "পাঁচ দফার ভোটে পরাস্ত হয়েছে ইন্ডি জোট, ৪ জুন সমাপ্ত হয়ে যাবে। বাংলার মানুষ ভোট দিচ্ছে না বলে বিজেপিকে গালাগালি দিচ্ছে। কাল অবদি সিপিএম-কংগ্রেসকে গালি দিচ্ছিল। এখন তৃণমূল বলছে ইন্ডি জোটে আছে। ইন্ডি জোটের ভাঙনের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে। তৃণমূলের কাছে রিপোর্ট কার্ড নেই, রেড কার্ড আছে। চাকরিতে রেড কার্ড লাগিয়ে রেখেছে। পয়সা দাও, চাকরি নাও। তৃণমূল নেতারা প্রকাশ্যে চাকরি বেচেছে। আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে। আজ পুরো দেশ বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত।"
প্রসঙ্গত, গত শনিবার হুগলিতে একটি নির্বাচনী জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, 'সব সাধু তো সমান হয় না। সব স্বজনও সমান হয় না। আমরাও কি সবাই সমান? এই যে বহরমপুরের একজন মহারাজ আছেন। আমি শুনেছি অনেক দিন ধরে, কার্তিক মহারাজ। ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘকে আমি খুব শ্রদ্ধা করতাম। তারা আমার শ্রদ্ধার তালিকায় অনেক দিন ধরে আছে। কিন্তু যে লোকটা বলে আমি তৃণমূল কংগ্রেসের এজেন্টকে বসতে দেব না, সেই লোকটাকা আমি সাধু বলে মনে করি না। তার কারণ তিনি ডাইরেক্ট পলিটিক্স করে দেশের সর্বনাশ করছেন।' কার্তিক মহারাজকে করা এই মন্তব্যে রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়।