আসছে বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। এ রাজ্য তো বটেই, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে যে বাঙালিরা ছড়িয়ে রয়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই এই উৎসবের জন্য সারা বছর অপেক্ষা করে থাকেন।
এবার বাঙালির সেই শ্রেষ্ঠ উৎসবকে নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়াচ্ছে একটা দাবি। যেখানে অভিযোগ করা হচ্ছে, বীরভূমের নলহাটিতে নাকি তিন বছর ধরে দুর্গাপুজো বন্ধ। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে সেই অজুহাতে নাকি পুলিশ দুর্গাপুজো বন্ধ রেখেছে। ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে এই অভিযোগটি শেয়ার করা হচ্ছে। বিশেষত হিন্দুত্ববাদীরা এটাকে বেশি করে শেয়ার করছেন।
যদিও ইন্ডিয়া টুডে তদন্ত করে দেখেছে যে, ভাইরাল দাবিটি সত্যি নয়, পুরোপুরি মিথ্যে। নিয়ম মেনে নলহাটিতে দুর্গাপুজো অনিষ্ঠিত হচ্ছে এবং এই বছরও সেটাই হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে একাংশ সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভুয়ো গুজব রটাচ্ছে।
কীভাবে এগলো অনুসন্ধান?
নলহাটিতে সত্যিই এমন কিছু ঘটলে তা নিশ্চয়ই খবরে প্রকাশিত হত। কিন্তু ইন্টারনেটে কিওয়ার্ড সার্চ করে আমরা এমন কোনও খবর দেখতে পাইনি।
এরপর ইন্ডিয়া টুডের তরফে, নলহাটি থানার ওসি মনোজ সিংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি নিশ্চিত করে জানান যে, ভাইরাল অভিযোগটি পুরোপুরি ভুয়ো। ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী দুর্গাপুজো কমিটিগুলোর সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক করেছেন। নলহাটি থানার অন্তর্গত পুজো কমিটিগুলোর সঙ্গে সেপ্টেম্বর মাসে বৈঠক করবেন তাঁরা।
ভাইরাল অভিযোগটিকে ফেক বলেন রামপুপহাটের এসডিপিও ধীমান মিত্রও। তিনি আরও জানান যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টায় যারা সোশ্যাল মিডিয়া এই ধরনের ভুয়ো অভিযোগ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এখানেই থেমে না থেকে ইন্ডিয়া টুডের তরফে দুর্গাপুজো কমিটিগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। নবজাগরণ সংঘ দুর্গাপুজা কমিটি আশ্রম পাড়ার কর্মকর্তা সৌমেন কর্মকার ও আমরাবর্তী সংঘ পাঁথর কল পাড়া পুজো কমিটির কর্মকর্তা শক্তিশঙ্কর সাহা সরাসরি ভাইরাল দাবিটিকে ফেক বলেছেন। তাঁদের বক্তব্য যে নলহাটিতে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রেখে প্রত্যেকে নিজ নিজ ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করেন।
ফলে, এখান থেকেই স্পষ্ট যে ভাইরাল দাবিটি ভুয়ো। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে একাংশ সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভুয়ো গুজব রটাচ্ছে।
ইনপুট: শান্তনু হাজরা, ইন্ডিয়া টুডে
নলহাটিতে দুর্গাপুজো ব্যান।
ভাইরাল দাবিটি ভুয়ো। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে একাংশ সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভুয়ো গুজব রটাচ্ছে।