তাপপ্রবাহে হাঁসফাঁস দশা গোটা দক্ষিণবঙ্গে। গোটা চৈত্র মাস কালবৈশাখীহীন। মাঝ বৈশাখেও দেখা নেই বৃষ্টির। এমতাবস্থায় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে একটি অশনি সংকেতও রয়েছে।
মে মাসেই আয়লা ও আমফানের মতো ঘূর্ণিঝড় দেখা গিয়েছিল। এবারও মে মাসে ঘূর্ণিঝড় হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মে মাসের শুরুতে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে চলেছে ঘূর্ণিঝড়। তবে তার অভিমুখ এতটা আগেভাগে বলা সম্ভব নয়।
ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিমবঙ্গ না বাংলাদেশে যাবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। কারণ এতটা আগেভাগে তা বলা সম্ভবও নয়। ফণী শেষ মুহূর্তে বাংলাদেশের উপর দিয়ে চলে গিয়েছিল।
বঙ্গোপসাগরে আবহাওয়ার গতিপ্রকৃতিতে যা দেখা যাচ্ছে, ৫ মে থেকে একটি ঘূর্ণাবর্ত হতে চলেছে। ক্রমে ৮ মে পর্যন্ত তা বড় আকার ধারণ করছে। যা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে পূর্বাভাস।
উত্তর ভারত মহাসাগরে তৈরি হচ্ছে ওই ঘূর্ণাবর্ত। সেটাই পরিণিত হবে নিম্নচাপে। এবং যেভাবে ৮ মে সেটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে চলেছে তাতে একটি ঘূর্ণাবর্তের আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।
আজতক বাংলার তরফে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। আবহাওয়াবিদ সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান,'এতটা আগেভাগে বলা সম্ভব নয়। আমরা ঠিক সময়ে জানিয়ে দেব।'
ঘূর্ণাবর্ত কি তৈরি হতে চলেছে? সঞ্জীব বলেন,'কিছু একটা হতে চলেছে। সেটা ঠিক জানিয়ে দেওয়া হবে। এখনও বলার মতো সময় আসেনি।'
এদিকে শনিবার থেকে গরম কমতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। রাজ্যের বেশি কিছু এলাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে।