Baisakhi Banerjee and Sovan Chatterjee: রাজনীতি থেকে দূরে সরে গিয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। কেন তিনি দূরে? জানালেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্য়ায়। শুক্রবার তিনি জানান, হেলায় ছেড়ে দিয়েছেন শোভন।
তিনি বলেন, শোভন চট্টোপাধ্য়ায় মাটির সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। জননেতা বলতে মানুষ যা বোঝেন, তা হচ্ছেন শোভন। আমরা রাজনীতিতে দেখতে পারছি না, এটা মনখারাপের বিষয়। তবে শোভন 'হ্যাপি ম্যান'। তবে শোভন বলেন, আমি যে রাজনীতির চেহারা দেখছি তা মানিয়ে নিতে পারব না। আমি কোনও মানুষকে ব্যক্তি আক্রমণ করিনি। ওপরে ওঠার জন্য কাউকে টেনেহিঁচড়ে নামাতে হয়নি। আমার কাছে হার মাস্টার্স ভয়েস বলে।
তিনি বলেন, স্কুল-কলেজে কেউ রাজনীতি করেননি, তিনিও জ্ঞান দিচ্ছে। যে তিনবার হেরে গিয়েছেন, তিনি জ্ঞান দিচ্ছেন।
বৈশাখী বলেন, মানুষের ওঁকে নিয়ে উন্মাদনা। মানুষ এখনও মেয়র সাহেব হিসেবে বলেন। জনগণের থেকে বিচ্ছিন্ন হননি। ছবি তোলার জন্য উন্মাদনা। মেয়র হিসেবে তিনি অত্যন্ত সফল।
এদিন তিনি বলেন, আশা করি তিনি ফিরে আসবেন। কিন্তু ওঁর মনের মধ্যে কোনও তাগিদ দেখি না রাজনীতিতে ফেরার। অনকে বলে কত পাওয়ারে এনজয় করেছেন। তখন তিনি প্রশ্ন করেন, পাওয়ার বলতে কী বোঝেন? হেলায়, তাচ্ছিল্যের সঙ্গে পদ ছেড়েছে। আমি টিকিট পাইনি বলে শোভন বিজেপি ছেড়েছে। ওঁকে খুব খুশি দেখি, রিল্যাক্স দেখি। হা হুতাশ নেই।
বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তাঁর পরিবার যথেষ্ট স্বচ্ছ্বল। চূড়ান্ত কষ্টে আমাকে সাহায্য করেছিলেন। আর্থিক সাহায্য নয়, মানসিরক ভাবে জোর দিয়েছেন। যাঁরা সমালোচনা করেছে। আমি শোভনের বাড়ি থেকে কলাটা-মূলোটা নিয়ে যাইনি। বন্ধু হিসেবে
আমাকে রত্না একবার বলেছিলেন, দিদিকে দিয়ে ফোন করাব। শোভন। আমাকে ছাড়লে তোমার সিদ্ধান্ত। মমতা বলবেন, তারপর ছাড়বে। ওঁর স্ত্রী একবার খারাপ কথা বলেছিলেন। শোভন বলেছিল, পথটা খুব কঠিন হবে। রত্না তা কঠিন করে দেবে। তোমার-আমার সম্পর্ক আমি-তুমি ছাড়া কেউ ভাঙতে পারবে? ও রাজনীতিতে আছে বলে আরও কঠিন হবে। রাজনীতি ছাড়তে পারি, যাঁকে আমি ভালবেসেছি...
তিনি বলেন, শোভন নিজে এলএলবি। তবে আইনের মারপ্যাঁচ নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামায় না। বিয়ে মানুষ কেন করে? একটা নিরাপত্তার জন্য। আমি আমার মেয়ের জন্য চিন্তিত ছিলাম। আমার জন্য মনোজিৎকে একটা টাকাও দিতে হয়নি।
তিনি বলেন, আমাকে কখনও শোভনের ফোন চেক করতে হয় না। মেয়েকে বলি যদি বয়ফ্রেন্ড বানাও, শোভনের মতো কোয়ালিটি যেন থাকে, সেটা দেখো।
একই সঙ্গে নিজের নাচের পারফরম্যান্স নিয়ে বৈশাখী বলেন, "অনেকে অনেক কথা তো বলেছে। আমি সেই সব কিছু নিয়েই মাথা ঘামাচ্ছি না। আমি বলবো ভাল হয়েছে কারণ প্রচুর ভাইরাল হয়েছে এই ভিডিও। সমালোচনা করুক বা যাই করুক প্রচুর মানুষ দেখেছে।
তিনি বলেন, আর জিরো ফিগারের তাগিদ আমার নেই। সে যে যাই বলুক। মানুষ অনেক কথা বলবে। বডি শেমিং নিয়ে মানুষ বলবেই, আর ভদ্রলোকেরাও করে থাকে। সবার হাতে স্মার্ট-ফোন আছে। ফলে এই নিয়ে আমার ভাবার সময় নেই। আমার একটা পরিবার আছে, কাজ আছে, তাই এই সব নিয়ে ভাবার সময় নেই।"