২০১৮-তে বিক্ষুব্ধ, ২০২১ এসে দলের সুপ্রিমোর নির্বাচনী এজেন্ট। আসন্ন ভবানীপুর উপ নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী এজেন্ট হয়েছেন বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, একসময়ে দলেই বিক্ষুব্ধ হয়েছিলেন ঘাসফুলের এই পুরনো সৈনিক। পরে অবশ্য সেই বিবাদ মিটে যায়। এখন সেখান থেকে খোদ দলনেত্রীর নির্বাচনী এজেন্ট হয়েছেন বৈশ্বানর।
কী ঘিরে বিতর্ক
২০১৮ সালে মার্চ মাসে শিরোনামে আসেন বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়। নেপথ্যে একটি ফেসবুক পোস্ট। সেটিতে লেখা ছিল, "এই নোংরা রাজনীতিতে আমি আর থাকতে চাই না।" পরে যদিও সেই ফেসবুক পোস্ট গায়েব হয়ে যায়। যা ঘিরে সেই সময়ে তুমুল রাজনৈতিক বিতণ্ডা চলে। এমনকি বাংলার এক দৈনিকে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সেই সময়ে তৃণমূলের তরফ থেকে জবাবও তলব করা হয় বিশ্বানর চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। পরে অবশ্য সংবাদমাধ্যমে নিজের ভুল স্বীকার করে নেন বৈশ্বানর। তিনি জানিয়ে দেন, "উত্তেজেনার বশে পোস্ট করেছিলেন। মানসিক চাপের মধ্যে ছিলাম। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের সৈনিক ছিলাম, রয়েছি এবং থাকব।" তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকেই দলের সঙ্গে জড়িত বৈশ্বানর। মূলত ছাত্র রাজনীতি থেকেই উথ্থান তাঁর।
ভবানীপুর নির্বাচন
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে উপ নির্বাচন। এখানে তৃণমূলের তরফ থেকে প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যে প্রচার শুরু করেছেন তিনি। কয়েকদিন আগেই মনোনয়ন জমা দেন তিনি। সেই সময়ে তাঁর সঙ্গে ছিলেন নির্বাচনী এজেন্ট বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর পাশেই দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এবার বিধানসভা নির্বাচনেও নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর কাছে ১৯০০-র বেশি ভোটে পরাজিত হন তিনি। ফলে নিয়ম অনুযায়ী ৬ মাসের মধ্যে কোনও একটি আসন থেকে জিতে বিধায়ক হয়ে আসতে হবে তাঁকে। উপ নির্বাচনে ভবানীপুর আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন তিনি। ২০১১ সালে ও ২০১৬ সালেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবানীপুর থেকে জিতেই মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। এবার ভবানীপুর উপ নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি ও বামেরাও। ৩রা অক্টোবর এই উপ নির্বাচনের ফল প্রকাশ হবে।