এবার বেসুরো বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্ত। দুর্গাপুজো নিয়ে বেসুরো সুর শোনা গেল তাঁর গলায়। গতবছর ঘটা করে দুর্গাপুজো করেছিল বিজেপি। ভার্চুয়ালি সেই পুজোয় অংশ নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। কিন্তু এবার আর বিজেপির তরফে তেমন কোনও প্রস্তুতি চোখে পড়েনি। এই প্রসঙ্গে দলের সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানিয়েছিলেন, 'রাজনৈতিক দলের কাজ রাজনীতি করা, দুর্গাপুজো করা নয়। গতবছরও বিজেপি দুর্গাপুজো করেনি। কিছু সদস্য এটি আয়োজন করেছিলেন। এই বছরও সাংস্কৃতিক সেল কিছু করতে পারে।'
দিলীপ ঘোষের এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্তকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'সেটা ওনার বিষয়। কালচারাল সেলকে উনি জিজ্ঞাসা করতে পারেন।' এরপরেই সব্যসাচী দত্ত বলেন, 'গতবছর ছিল প্রি ইলেকশান ম্যানিফেস্ট, এবার পোস্ট ইলেকশান ম্যানিফেস্টো।' তাঁর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পালটা প্রশ্ন ওঠে, তবে কী গতবারে ভোটের কারণেই জাঁকজমক করে পুজো করেছিল বিজেপি? সব্যসাচীর জবাব, 'মানে তো তাই দাঁড়ায়।' যদিও এরপরেই সব্যসাচী জানান, 'এইবছরও পুজো হবে বলে শুনেছি। গত রবিবার বৈঠক ডেকেছিলেন দলের রাজ্য সহসভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়।'
এদিকে সব্যসাচী দত্তের এহেন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পালটা দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'আমার জানা নেই। বিধি অনুযায়ী পুজো হওয়া উচিত। ভোট দেখে পুজো হওয়া ঠিক নয়। যাঁরা পুজো করেছিলেন তাঁদের চিন্তাভাবনা করা উচিত।' দিলীপ আরও বলেন, 'পুজো করতে তো আপত্তি নেই। কয়েকজন মিলে পুজো করতেই পারেন। তবে এবার তো সেভাবে বড় করে পুজো হচ্ছে না। যদি কোনও হলের মধ্যে পুজো হয়, তা হলে ভালই হবে, লোকজন দেখতে পাবেন।' তবে সব্যসাচী দত্ত দল ছাড়তে পারেন কি না প্রশ্ন করা হলে, দিলীপ ঘোষ জানান, তাঁর জানা নেই।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে দুর্গাপুজোর আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন সব্যসাচী দত্ত। এবার জল্পনা তৈরি হয়েছে যে, আগামী সপ্তাহে দুর্গাপুজোর আগেই ফের তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন তিনি। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর কথাবার্তাও হয়েছে বলে সূতের খবর। যদিও অপর একটি সূত্রের খবর আজ বুধবারই তৃণমূলে ফিরতে পারেন তিনি। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত কোন পথে যান সব্যসাচী।