মহাকরণ। একটা সময় রাজ্য রাজনীতির ভরকেন্দ্র। ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক কার্যালয় স্থানান্তর করেন নবান্নে। তাই মহাকরণ খানিকটা অলক্ষ্যেই চলে গিয়েছে। সেই লালবাড়িতেই হইচই! কারণ পালাবদলের ১০ বছর পরে আবার নেমপ্লেটে জ্বলজ্বল করছে একটি নাম। যে নামের সঙ্গে জড়িয়ে সিপিএম-তথা বামপন্থী সমর্থকদের আবেগ। তিনি হলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।
এই তো সেদিন মহাকরণের করিডর ধরে হেঁটে যেতেন সাদা ধবধবে ধুতি-পাঞ্জাবি পরিহিত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ২০১১ সালে পালাবদল। জনাদেশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে। রাজ্য রাজনীতির বিরোধী নেত্রীকেই বেছে নিয়েছিলেন বাংলার ভোটাররা। ১৩ মে দুপুর ২টোয় রাজভবনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। শপথ নিয়েছিলেন মমতা। ২০২১ সালে তৃতীয়বার রাজ্যের মসনদে বসেছেন নেত্রী। আর সক্রিয় রাজনীতিতে নেই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। দীর্ঘদিন ধরে তিনি অসুস্থ। মাঝে হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয়েছে একাধিকবার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে গিয়ে দেখে এসেছেন তাঁকে।
১১ বছর 'বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য'ই মহাকরণে! ব্যাপারটা কী? আসলে ইনি সেই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য নন। ১১ বছর সমাপতন রাইটার্সে। এ হল নামমিলান্তি। এই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য কলকাতা পুলিসের স্পেশাল ব্রাঞ্চের অফিসার-ইন-চার্জ। তিনিই মহাকরণ রক্ষার দায়িত্বে। তাঁর ঘর বাইরেই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য নেমপ্লেট বসেছে। যা অনেকের চোখেই পড়েছে। পুরোনাদের কাছে ভেসে উঠেছে অতীতের স্মৃতি।
তবে রাজনীতি থেকে দূরে সরে গেলেও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য হারাননি। এখনও বইমেলায় এসএফআইয়ের স্টলে সর্বাধিক বিক্রিত বইয়ের মধ্যে তাঁর লেখনী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় বুদ্ধদেবের অতীতের সাক্ষাৎকার-ভিডিও। আক্ষেপ করেন বাম সমর্থকরা।
আরও পড়ুন- দুর্গাপুজোয় টানা ১১দিন ছুটি, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর