আর মাত্র কয়েকঘণ্টার অপেক্ষা। তারপরই জানা যাবে ২০২১-বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল। কাল বিকেলের মধ্যে পরিষ্কার হয়ে যাবে, কে দখল করবে নবান্ন, তৃণমূল না বিজেপি? মোদী-শাহের ম্যাজিক কাজ করবে? মমতা তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতা দখল করবেন নাকি সবাইকে চমকে দিয়ে খুব ভালো ফল করবে সংযুক্ত মোর্চা? এই সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে রাত পোহালেই।
এবার ভোট গণনার জন্য রাজ্যে মোট ১০৮টি গণনা কেন্দ্র তৈরি হয়েছে। সকাল আটটা থেকে গণনা শুরু হওয়ার কথা। কোনওরকম অশান্তি যাতে না ছড়ায় সেজন্য ২৫৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে বুথগুলিতে। সবথেকে বেশি গণনাকেন্দ্র থাকছে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, গণনাকেন্দ্রে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয় থাকবে।
করোনার সংক্রমণের কথা ভেবে গণনাকেন্দ্রগুলিতে করোনা বিধি কড়াভাবে লাগু করা হয়েছে। যাঁরা গণনাকেন্দ্রে থাকবেন, তাঁদের প্রত্যেকের কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ থাকতেই হবে। গণনাকেন্দ্রে প্রবেশের সময় কর্মীদের শরীরের তাপমাত্রা মাপা হবে। তাঁদের কোভিড বিধি মানতে হবে বলেও নির্দেশিকা জারি করেছে কমিশন।
আরও পড়ুন : হাইভোল্টেজ নন্দীগ্রাম: 'আমিই এগিয়ে', বলছেন শুভেন্দু
হাইভোল্ডেজ পশ্চিমবঙ্গ
পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, তামিলনাড়ু, অসম ও পুদুচেরি এই ৫টি রাজ্যে একসঙ্গে ভোট হয়। তবে গোটা দেশের নজর পশ্চিমবঙ্গের দিকেই। বলা যেতেই পারে, এই রাজ্যে এবারের ভোট যেন মমতা বনাম মোদীর লড়াই। দুই ,দলই দাবি করেছে, তারা ২০০-র বেশি আসন পাবে। রাজ্যে ক্ষমতা দখল করতে ভোটের দিন ঘোষণার পরই রেকর্ড সংখ্যকবার রাজ্যে এসেছেন মোদী-শাহ। করেছেন রোড শো, জনসভা। মমতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সভা থেকে আক্রমণ করেছেন তাঁরা। 'পরিবর্তনের পরিবর্তন'-এর দাবি তুলেছেন। মোদীর 'দিদি ও দিদি' ডাকও বেশ জনপ্রিয় হয় প্রচারপর্বে।
অন্যদিকে মোদী-শাহ ও বিজেপি-র নেতাদের বহিরাগত আখ্যা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দল। কেন্দ্র সরকার রাজ্যকে বঞ্চনা করেছে, প্রাপ্য দেয়নি, বিজেপি দাঙ্গাবাজের দল, মোদী-শাহরা বাংলায় করোনা ছড়াচ্ছে এমন একাধিক উক্তি শোনা গিয়েছে তৃণমূল নেত্রীর গলায়।
রাজনৈতিক মহলের মতে, এত হাইভোল্টেজ ভোট এর আগে দেখেনি পশ্চিমবঙ্গ। একদিকে বাংলা দখলের জন্য কেন্দ্রের শাসক দলের মরিয়া চেষ্টা, অন্য়দিকে হ্যাটট্রিকের মুখে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কে হাসবেন শেষ হাসি, অপেক্ষা আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার।