'নন্দীগ্রাম তুমি কার?' রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের না বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর। অর্থাৎ, কে দখল করবে এই আসন। তার দিকেই তাকিয়ে রাজ্যবাসী। গণনা শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগেও শুভেন্দুর দাবি, তিনিই জিতবেন এই আসন থেকে।
শুভেন্দুর গড় নন্দীগ্রামে লড়ার চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটের পর তিনি জেতার বিষয়ে আশাপ্রকাশ করেন। বলেন, 'আমি একা জিতলে তো হবে না। আরও সব আসন থেকে আমাদের প্রার্থীদের জিততে হবে।' একই দাবি করেছিলেন শুভেন্দু নিজেও। সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেছিলেন, 'ফলাফলে দেখে নেবেন, আমিই জিতব।'
আরও পড়ুন :আলিপুরদুয়ারে হাই অ্যালার্ট, বন্ধ করা হল ভারত-ভুটান সীমান্ত
কালই সেই ফলাফল। তার আগে শুভেন্দু অধিকারী আজতক বাংলাকে ফোনে জানালেন, 'মাননীয়াকে হাফ লাখ ভোটে হারাব। আগেও বলেছি। এখনও একই কথা বলছি।' যদিও একাধিক বুথ ফেরত সমীক্ষার দাবি, নন্দীগ্রামে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। তবে জেতার সম্ভাবনা মমতারই বেশি। এই বিষয়ে শিশিরপুত্র বলেন, 'আমি আগেই বলেছি, নন্দীগ্রাম আমার গড়। আমি হাতের তালুর মতো চিনি এই বিধানসভা এলাকাকে। তাই আমিই এগিয়ে।'
যদিও শুভেন্দুর দাবি কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন শ্রীরামপুরের সাংসদ তথা তৃণমূল নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'উনি দাবি করতেই পারেন। দাবি করার অধিকার সবার আছে। তবে ওই আসনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতবেন। কত আসনে সেটা বলা আমার কাজ নয়। তবে দিদির জয় নিশ্চিত।'
প্রসঙ্গত, গত ২৯ তারিখ ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরই বুথ ফেরত সমীক্ষা প্রকাশ করছে একাধিক সংবাদমাধ্যম ও সমীক্ষা সংস্থা। মোট আটটি জনপ্রিয় সমীক্ষা সংস্থার মধ্যে ৪টির মত রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। বাকি ৪ সমীক্ষা সংস্থা এগিয়ে রেখেছে গেরুয়া শিবিরকে।