অনশন প্রত্যাহার করলেন ডিএ-র আন্দোলনকারীরা। শনিবারই এই সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। এদিন হাসপাতাল থেকে ফিরে আসেন অন্যতম আন্দোলনকারী তথা সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ। তিনিই এই অনশন প্রত্যাহারের ঘোষণা করেন। তিনি একা নন, আরও যাঁরা অনশন করছিলেন, তাঁরা সবাই অনশন প্রত্যাহার করছেন।
৪৪ দিনের মাথায় উঠল এই অনশন। তবে অনশন প্রত্যাহার করলেও আন্দোলন তাঁরা চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন সরকারি কর্মীরা। ভাস্কর ঘোষ জানান, তিনি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা খারাপ। তবে এসব নিয়ে তিনি বিচলিত নন। ৪২ দিনের মাথায় হাসপাতালে তিনি অনশন ভাঙেন। ডাক্তারদের কথা মতো অনশন প্রত্য়াহার করেছেন।
ভাস্কর ঘোষ বলেন, 'এই সরকারের এখন পিঠ ঠেকে গেছে। আমাদের আন্দোলন থেকে এটা পরিষ্কার। এক সময় রাজ্য সরকারি কর্মীদের ভয় দেখাত। আর এখন উল্টোটা হচ্ছে। এটা আন্দোলনের ফসল। সরকারি কর্মীদের মনোবল অটুট রাখার ফল। শুধু কর্মচারী-শিক্ষকদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে বলব, আমরা আমাদের সঙ্গে থাকুন। এই রাজ্যের সার্বিক পরিস্থিতি বদলাতে হবে। এই পণ আমরা করেছি। সাধারণ মানুষকে আমাদের পাশে থাকতে হবে। তাহলেই তা সম্ভব হবে।'
আরও পড়ুন : ডিএ : দেড় লাখ টাকা কম বেতন পাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা, রইল হিসেব
ভাস্কর ঘোষ আরও দাবি করেন, 'আমাদের আন্দোলন সফল। সরকারকে এবার শূন্য থেকে শুরু করতে হবে। তারা ঠিক করুক তাদের অবস্থান কী হবে। আমরা নিজেদের দাবিতে অনড়। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, তিনি দিল্লিতে সভা করবেন। আমরা তো বলেছিলাম, আপনার বিপরীতে বসে সভা করব। উনি সেই সাহস আর করতে পারেননি। আর তৃণমূল বলছে তারা সভা করবে এখানে। কিন্তু সেজন্য আমাদের উঠে যাওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই। কোর্টের অর্ডারে বসে আছি। কোর্ট যদি উঠে যেতে বলে তাহলে উঠে যাব।'
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার দাবিতে গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ধর্মতলার শহিদ মিনার ময়দানে রিলে অনশন শুরু করেছিলেন সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ধারাবাহিক অনশন শুরু হয়। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা উঠবেন না বলে দাবি করেছিলেন। অনশন চলাকালীন একাধিক সরকারি কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়।