গঙ্গাবক্ষে নামতে চলেছে বাতানুকূল নৌকা। সোমবার এই পরিকল্পনার কথা জানান রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী, কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর প্রধান ফিরহাদ হাকিম। এদিন তিনি শালিমার শিপইয়ার্ড পরিদর্শনে যান। সেটি পুনরুজ্জ্বীবনের ওপর জোর দেন।
এদিন তিনি সেখানকার আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। শিপইয়ার্ডের কী পরিস্থিতি, তা জানার চেষ্টা করেন। তা আরও ভাল করতে কী কী করা যেতে পারে, সেই মতামতও নেন।
পরে তিনি জানান, আমরা চেষ্টা করছি যাতে এটি পুনরুজ্জ্বীবিত করা যায়। আর সে কারণে একটা ছোট 'ড্রাই ডক' তৈরি করা হতে পারে। গঙ্গা নদীতে বাতানুকূল নৌকা নামানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পরিবহণ সচিব রাজেশকুমার সিনহা, রাজ্য পরিবহণ নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং শালিমার শিপইয়ার্ডের চেয়ারম্যান রজনবীর সিং কাপুর প্রমুখ।
পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গঙ্গা নদীতে ওই বাতানুকূল নৌকা চালানোর পরিকল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজ্য পরিবহণ নিগম সেগুলি চালাতে পারে। সেগুলি মাঝারি আকারের নৌকা হবে।
পর্যটকদের কাছে এগুলি অত্যন্ত আকর্ষণীয় হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এগুলি যাত্রী পরিবহণের কাজেও লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
মানুষ এগুলি ভাড়াও নিতে পারবেন। খুব শিগিগিরি সেই কাজ শুরু করা হবে। রাজ্যের কাছে নৌকো রয়েছে। ফলে তা জোগাড় করতে সমস্যা নেই। সেগুলি খোলনলচে বদল করা হবে। কতগুলি নৌকা নামানো হবে, ত এখনও ঠিক হয়নি।
তবে এর সঙ্গে লঞ্চ পরিষেবার কোনও সম্পর্ক নেই। লঞ্চ যেমন চলছে, সেগুলি তেমনই চলবে। সেগুলি একই থাকবে। তার পাশাপাশি নতুন পরিষেবা হিসাবে বাতানুকূল নৌকা যুক্ত হতে চলছে বলা যেতে পারে।
এদিকে, রাজ্যে আংশিক লকডাউনের সময়সীমা আরও বাড়ানো হল। দোকানপাট খোলায় কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে লোকাল ট্রেন, মেট্রো, বাস, অটো, লঞ্চ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যে সরকার। করোনা সংক্রমণ আটকাতেই এই ব্যবস্থা।
অনেকে লোকাল ট্রেন চালানোর দাবি করেছেন। অভিযোগ উঠেছে, স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে ভিড় বেড়ে যাচ্ছে। লোকাল ট্রেন না থাকায় বেশ সমস্যা হচ্ছে মানুষের যাতাযাতে।
খরচ এবং সময়- দু'টোই বেশি লাগছে। ফলে তাঁরা লোকাল ট্রেন চালানোর দাবি তুলেছেন।