scorecardresearch
 

ওম বিড়লাকে নালিশ বিমানের, পালটা চিঠি ধনখড়ের

গত ২২ জুন সারা ভারত স্পিকার সম্মেলনে ওম বিড়লাকে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, 'রাজ্যপাল বিধানসভার অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে হস্তক্ষেপ করছেন, যা তাঁর এক্রিয়ারভুক্ত নয়'। তার প্রেক্ষিতে এদিন চিঠিতে রাজ্যপাল লেখেন, "এর চেয়ে দুঃখজনক কিছু হতে পারে না। আপনার অভিযোগ সংবিধানের পরিপন্থী। আমি বিধানসভায় যাওয়ার পরেও গেট বন্ধ রাখা হয়। আপনি নিজেও উপস্থিত থাকেন না। আমাকে অপমান করা হয়েছে।" 

Advertisement
বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ও জগদীপ ধনখড় (বামদিক থেকে) বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ও জগদীপ ধনখড় (বামদিক থেকে)
হাইলাইটস
  • লোকসভার স্পিকারকে নালিশ বিধানসভার অধ্যক্ষর
  • রাজ্যপালকে নিয়ে নালিশ
  • পালটা অধ্যক্ষকে চিঠি রাজ্যপালের

রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের আঁচ এবার পৌঁছ গেল বিধানসভাতেও। লোকসভার স্পিকারের কাছে বিধানসভার অধ্যক্ষের নালিশের প্রতিবাদে এবার পালটা চিঠি দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্যপাল বিধানসভার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছেন বলে সম্প্রতি লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে জানান বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banerjee)। তার প্রতিবাদে এবার পালটা চিঠি রাজ্যপালের। 

চিঠিতে কী লিখলেন রাজ্যপাল?

গত ২২ জুন সারা ভারত স্পিকার সম্মেলনে ওম বিড়লাকে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, 'রাজ্যপাল বিধানসভার অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে হস্তক্ষেপ করছেন, যা তাঁর এক্রিয়ারভুক্ত নয়'। তার প্রেক্ষিতে এদিন চিঠিতে রাজ্যপাল লেখেন, "এর চেয়ে দুঃখজনক কিছু হতে পারে না। আপনার অভিযোগ সংবিধানের পরিপন্থী। আমি বিধানসভায় যাওয়ার পরেও গেট বন্ধ রাখা হয়। আপনি নিজেও উপস্থিত থাকেন না। আমাকে অপমান করা হয়েছে।" 

জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) আরও লেখেন, বিধানসভায় তাঁর ভাষণের লাইভ সম্প্রচার বন্ধ করা হয়েছিল, যা 'জরুরি অবস্থা'র শামিল বলেও উল্লেখ করেন রাজ্যপাল। একইসঙ্গে রাজভবনে পাঠানো একাধিক বিলে রাজ্যপাল সাক্ষর করেননি বলে যে অভিযোগ অধ্যক্ষ করেছিলেন তাও এদিন খারিজ করে দেন ধনখড়। রাজভবনে কোনও বিল পড়ে নেই বলেই এদিন দাবি করেন রাজ্যপাল। 

প্রসঙ্গত জৈন হাওয়ালাকাণ্ড নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে নতুন করে আলোচনায় রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি দাবি করেন জৈন হাওয়ালাকাণ্ডের এফআইআর-এ নাম ছিল রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের। তাঁকে 'দুর্নীতিগ্রস্ত' বলেও কটাক্ষ করেন মমতা। তারপরেই পালটা সাংবাদিক বৈঠক ডেকে মুখ্যমন্ত্রীর সমস্ত দাবি খারিজ করে দেনে রাজ্যপাল। জৈন হাওয়ালাকাণ্ডের এফাইআর-এ তাঁর নাম ছিল না বলেই দাবি করেন তিনি। যদিও পরেরদিন তৃণমূলের তরফে সংবাদমাধ্যমের সামনে কিছু নথিপত্র পেশ করা হয়। যাতে জৈন হাওয়ালাকাণ্ডের ডায়েরির একটি জায়গায় ধনখড়ের নাম রয়েছে বলে দাবি করা হয়। গোটা ঘটনায় রীতিমতো উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। 

Advertisement


 

Advertisement